আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ইউক্রেনে রুশ হামলা চালানো হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মস্কো সামরিক আগ্রাসনের অজুহাত খুঁজছে বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাজ্য।
এদিকে, ইউক্রেনের সরকার প্রধান বলছেন, নিজ দেশের নিরাপত্তার জন্যই ন্যাটোর সদস্যপত্র প্রয়োজন।
কোনোভাবেই কমছে না ইউক্রেন ইস্যুর উত্তেজনা। সীমান্ত থেকে মস্কো সেনা প্রত্যাহারের কথা জানালেও, নতুন উপগ্রহ চিত্র সন্দেহ আরও জোরালো করছে। নতুন স্যাটেলাইট চিত্রে বেলারুশ, ক্রিমিয়া এবং পশ্চিম রাশিয়ায় ব্যাপক সামরিক তৎপরতা ধরা পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ তুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তার দাবি, ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালানোর অজুহাত খুঁজছে পুতিন প্রশাসন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চালানো হতে পারে চূড়ান্ত হামলা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তারা কোনো সেনাই সরায়নি। বরং আরও সেনা মোতায়েন করেই যাচ্ছে। যার প্রতিটি ইঙ্গিত আমাদের কাছে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ইউক্রেনের চিত্র অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করতে চলেছে। একই দিনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আয়োজিত বৈঠকে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পর ইউক্রেন ও এর আশপাশের সীমান্তে উত্তেজনা অন্য যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি।
এদিকে, ন্যাটোর সদস্যপদ ইস্যুতে ইউক্রেন কোনো আপস করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টি শুধু আকাঙ্ক্ষা নয়, ইউক্রেনের জন্য বাঁচা-মরা ও স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকের সময় কার্যালয়ের বাইরে ইউক্রেনের সমর্থনে রুশ আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা।
news24bd.tv তৌহিদ