কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে উদ্ধার করা অগ্নিদগ্ধ নারীর মরদেহের খোঁজ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ রবিবার সকালে ওই নারীর স্বামী লালনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেল ৫টার দিকে বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ দাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের কলাবাগান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন সকালেই স্ত্রী সজনী নিখোঁজ বলে জিডি করেন লালন।
ভেড়ামারা থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, স্ত্রী সজনী মায়ের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি তাকে। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে সজনীর বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন থানায় আসেন জিডি করতে। তারা জানতেন না তার স্বামী আগেই জিডি করে গেছেন।
ভেড়ামারা থানার ওসি তদন্ত নান্নু খান বলেন, তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছেন এটিই সজনীর মরদেহ। সজনী বাবা মিরপুরের রানাখড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম স্বামী লালনের বিরুদ্ধে গত রাতে হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায় লালনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, নিহতের বাবা হত্যার কারণ হিসেবে তার মেয়ের সঙ্গে স্বামীর সাংসারিক অশান্তির কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
নিহত সজনীর বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ১৩ বছর আগে লালনের সাথে সজনীর বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন ধরে স্বামী লালন তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সজনী বাবার বাড়ি যান।
১৬ই ফেব্রুয়ারি লালন নিজে গিয়ে একপ্রকার জোর করেই স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মোবাইল ফোনে সে সজনীর মাকে জানায় যে, সজনীকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার একদিন পর ১৯শে ফেব্রুয়ারি সজনীর অগ্নিদগ্ধ বিকৃত লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশের ধারণা, হত্যা করে পরিচয় গোপন করতেই ওই নারীকে নৃশংসভাবে পোড়ানো হতে পারে।
news24bd.tv রিমু