বহুকাল ধরেই অনেক মানুষ ব্যথা উপশমে তেল, নানা ভেষজ উপাদান এবং থেরাপি ব্যবহার করে আসছেন।
ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই পেইন কিলার খেয়ে ফেলেন অনেকেই। কিন্তু এভাবে ক্রমাগত ওষুধ খেতে থাকলে নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তার পরিবর্তে নানা প্রাকৃতিক উপাদানের আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে।
রোজমেরি তেল
কিছু গবেষকরা বলছেন, রোজমেরি তেল মাথাব্যথা, পেশী ও হাড়ের ব্যথা এবং খিঁচুনি নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে। পাশাপাশি। সেই সাথে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে। সরাসরি ব্যবহার না করে অলিভ অয়েল বা অন্য কোনও তেলে মিশিয়ে
একটু পাতলা করে ব্যবহার করতে হয় এটি।
ক্যাপসাইসিন
প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমের পদ্ধতি হিসেবে অনেকে মরিচের মধ্যে উপস্থিত ক্যাপসাইসিনও ব্যবহার করেন। এটি ত্বকের উপর প্রয়োগ করা হলে একটি হালকা জ্বালা বা ঝাঁঝালো অনুভূতি হতে পারে। অনেক ব্যথা উপশমকারী পণ্যেও ক্যাপসাইসিন থাকে। গবেষকরা এখনও নিশ্চিত নন ঠিক কি কারণে এটি ব্যথা উপশম করে, তবে কারও কারও মতে এটিও স্নায়ুর উপর কাজ করে ব্যথার অনুভূতি কমায়।
আদা
২০১৫ সালের একটি গবেষণা বলছে, শরীরচর্চা এবং দৌড়ানোর ফলে মাংসপেশির যে ব্যথা হয়, ৫ দিন এক টানা ২ গ্রাম করে আদা খেলে সেই ব্যথা কমে যায়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আদা রোগমুক্তি ত্বরান্বিত করতে পারে এবং ব্যায়াম সম্পর্কিত প্রদাহ বা ব্যথা কমাতে পারে।
হলুদ
হলুদের মধ্যে কারকিউমা নামক একটি উপাদান থাকে, যা ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত হাঁটুর অস্টিওআর্থারাইটিসের চিকিৎসায় এটি অত্যন্ত কার্যকর। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রতেও ব্যথানাশক হিসেবে হলুদের প্রচলন রয়েছে। প্রদাহ কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর হলুদ।
তবে মনে রাখতে হবে, সকলের শরীর এক নয়। ব্যথার কারণ ও তীব্রতাও এক নয়। কাজেই ব্যথা কমাতে কোন পদ্ধতি সবচেয়ে ভাল কাজ করে সেটা ব্যাক্তিভেদে আলাদা। তাই ব্যথা হলে সর্বপ্রথম চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার
news24bd.tv/এমি-জান্নাত