ইউক্রেনে হামলার জবাবে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর মিত্ররা। যার মূল্য লক্ষ্য রুশ প্রতিষ্ঠানগুলোর মার্কিন ডলার প্রবাহ বন্ধ করা এবং দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক খাতের বিরাট চাপের মুখে ফেলা। তবে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে চীনের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পরপরই আর্ন্তজাতিক বাজারে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়।
বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের পর রাশিয়া থেকে চীনের পণ্য আমদানি বাড়তে থাকে। তবে সে সময় রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা ছিলো হালকা। ২০২২-এ পরিস্থিতি পাল্টেছে। রাশিয়া ওপর কঠিন থেকে কঠিন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। পশ্চিমারা আগে কখনোই বিশ্ববাণিজ্য থেকে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিকে একঘরে করার চেষ্টা করেনি। যদিও তাদের এবারের উদ্যোগ মস্কোর ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
কারণ রুশ অর্থনীতি সচল রাখতে এরইমধ্যে চীনের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াচ্ছেন প্রেসিডেন্ট রাশিয়া। সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্টের চীন সফর এরই আভাস বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, পশ্চিমাদের কঠিন নিষেধাজ্ঞা সামালে রাশিয়ার অর্থনীতি সচল রাখতে চীনকেই পাশে চাইবেন চৌকশ পুতিন।
news24bd.tv/আলী