রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার যুদ্ধের প্রথম দিন স্থল, আকাশ এবং নৌপথে ইউক্রেনের ওপর মোট ২০৩টি হামলা চালানো হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে মোট ৮৩টি পূর্বনির্দিষ্ট লক্ষ্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই রুশ ফৌজের বৃহত্তম অভিযান। ইউক্রেনের সহকারি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী জেরাশচেঙ্কোর অভিযোগ, রাজধানী কিভের সেনা সদরের পাশাপাশি অসমারিক বিমানবন্দর এবং ঘনাবসিতপূর্ণ এলাকাতেও ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের ‘সিলিকন ভ্যালি’ খারকিভ, চোরনোবিলের পরমাণুকেন্দ্র ইতিমধ্যেই রুশ সেনার নিয়ন্ত্রণে বলে মস্কোর দাবি। ইউক্রেনের শহর উপকূলবর্তী মারিউপোল এবং ওডেসায় রুশ নৌবাহিনীর ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকল’ থেকেও সেনা অবতরণ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেখানে ইউক্রেন বাহিনীর প্রত্যাঘাতে বেশ কয়েক জন রুশ সেনার মৃত্যুর খবর মিলেছে।
নতুন খবর হলো, এবার উত্তর-পশ্চিমের বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী।
এরই মধ্যে ঝফরিঝাজয়া-সহ সীমান্তের কয়েকটি ইউক্রেনীয় সেনাশিবির ধ্বংসের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। বেশ কিছু ইউক্রেন সেনার আন্তসমর্পণের ভিডিও সামনে এসেছে যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন রাজধানী কিভ-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ‘ক্রুজ’ ক্ষেপণাস্ত্র হানা অব্যাহত রয়েছে। এখনবেড়েছে বিমান হামলাও। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী এবং ‘এয়ার ডিফেন্স ইউনিট’ গুলিও সাধ্যমত প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। আকাশে বিমানযুদ্ধে (ডগ ফাইট) ভুপতিত হয়েছে বেশ কয়েকটি রুশ যুদ্ধবিমান। কিভে ভেঙে পড়া এমন একটি রুশ যুদ্ধবিমানের ছবিও প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র : আনন্দ বাজার