দ্বিতীয় দিনেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা। একের পর এক হামলায় অবরুদ্ধ কিয়েভ। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ক্ষমতাধর দেশরা কেউ পাশে নেই -একাই লড়াই করছেন তারা। এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৭জন।
দ্রুত দেখা হবে বাবা…. এটায় হয়তো শেষ কথা সন্তানদের সাথে, মূহুর্তেই বাতাসে বারুদের গন্ধ।
ইউক্রেনের বড় বড় শহরে চলছে রুশ সেনাদের মুহ মুহ হামলা। কিয়েভের দাবী ২৪ ঘন্টায় ৩৩টি বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আতঙ্কিত কিয়েভবাসীর এখন নিরাপদ স্থান মেট্রো স্টেশনের আন্ডারগ্রাউন্ড। গোলা আর ক্ষেপণাস্ত্রের শব্দে বাড়ছে আতঙ্ক।
ইউক্রেইনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এরিমাঝে রুশ বাহিনী কিয়েভ অভিমুখের সব সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। কিয়েভ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনের প্রধান বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনী। রুশ সেনাদের ঠেকাতে ককটেল তৈরির জন্য বাসিন্দাদের অনুরোধ জানিয়েছে কিয়েভ সরকার। প্রাণপনে লড়ছে কিয়েভ সেনারাও।
রাজধানী কিয়েভে হামলা শুরুর পর বাসিন্দারা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ প্রতিবেশী মলদোভা, রোমানিয়া, পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরিতে ছুটছেন। এমন মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে এক লাখ বলে মনে করছে জাতিসংঘ ।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে খোদ রাশিয়াতেও। অবিলম্বে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, লেবানন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে।
news24bd.tv/আলী