ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ বাহিনীর প্রবেশ

ছবি : রয়টার্স

শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিষ্ফোরণ-গোলাগুলির শব্দ

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ বাহিনীর প্রবেশ

চন্দ্রানী চন্দ্রা

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আরো ভেতরে প্রবেশ করেছে রুশ বাহিনী।  শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিষ্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।  প্রতিরোধের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউক্রেন বাহিনী। দুই বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের খবর দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

 এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করেছে রুশ বাহিনী। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ। সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী।

 তুমুল যুদ্ধ চলার খবর দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।  

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমোর জেলেনস্কি বলেন, 'শত্রুরা ইউক্রেনের মানুষের গড়া প্রতিরোধ ভাঙতে সব রকমের শক্তি ব্যবহার করবে। সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এই সময়ের মধ্যেই ইউক্রেনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। '

এর আগে একটি বিমানঘাঁটি দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। অন্যদিকে ইউক্রেনের দাবি, তারা রাশিয়ার একটি বড় বিমান ভূপাতিত করেছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ জানিয়েছে ইউক্রেন প্যারাট্রুপারসহ একটি রাশিয়ান ইলিউশিন-৭৬ বিমান ভূপাতিত করেছে।

এর আগে জেলেনস্কির এক মুখপাত্র দাবি করেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসতে দুই পক্ষই এখন সময় এবং স্থান নির্ধারণে আলোচনা করছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বৈঠকে বসলে ইউক্রেনের সব সশস্ত্রবাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

এদিকে নিউইয়র্ক, প্যারিস, বার্লিন, লন্ডন, মস্কোসহ বিভিন্ন দেশের প্রধান শহরগুলোতে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।  অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব উঠছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা পুতিন ও টার্গেট করে নিষেধাজ্ঞার আরোপে যাচ্ছে। মিত্রদের আশ্বস্ত করতে পূর্ব ইউরোপে আরও সৈন্য পাঠাচ্ছে ন্যাটো।

news24bd.tv রিমু