গার্মেন্টস এক্সেসরিজ আমদানির আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালন; ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১১ কেজি স্বর্ণ আটক  

গার্মেন্টস এক্সেসরিজ আমদানির আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালন; ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১১ কেজি স্বর্ণ আটক  

অনলাইন ডেস্ক

চীন থেকে গার্মেন্টস সরঞ্জাম আমদানির আড়ালে অবৈধভাবে আমদানি করা প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১১ কেজি (৯৬টি বার) স্বর্ণসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে ঢাকা কাস্টমস গোয়েন্দা। আজ রবিবার কাস্টমস গোয়েন্দার বিশেষ এক অভিযানে ডেলিভারি গেট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, ফিরোজ আলম (২৫) ও মোহাম্মদ নিয়াতুল্লাহ (৪০)।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে (উত্তরা) এয়ারফ্লাইট ইউনিটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ।

তিনি বলেন, এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের থেকে বান্ডেল খুলে ১৬টি করে মোট ৩২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি টাকা।

তিনি আরো বেলেন, ফেব্রিক্সের মধ্যে অত্যন্ত সুকৌশলে লুকিয়ে স্বর্ণবারসমূহ অবৈধভাবে সরকারি ধার্যকৃত শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়েছে। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মতৎপরতায় তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

আটককৃত স্বর্ণের বারগুলো কাস্টম হাউস, ঢাকার শুল্ক গুদামে জমার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

আটককৃত দুই জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও ফৌজদারী মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, গণনার সময় এয়ারওয়েবিলের মাধ্যমে আমদানিকৃত ফেব্রিক্সের ভাঁজের মধ্যে দুইটি সাদা প্লাস্টিকে মোড়ানো প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেট দু'টি খুলে মেটাল বাটনের ভেতর কালো স্কচটেপ মোড়ানো চারটি বান্ডেল পাওয়া যায়। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বান্ডেলগুলো খুলে ১৬টি করে মোট ৬৪টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এগুলোর ওজন ৭.৪২ কেজি (প্রতিটি ১১৬ গ্রাম করে)। অপর আমদানিকৃত ফেব্রিক্স থেকেও একটি সাদা প্লাস্টিকে মোড়ানো প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেটটি খুলে মেটাল বাটনের ভেতর কালো স্কচটেপ মোড়ানো দুইটি বান্ডল পাওয়া যায়।