ষষ্ঠ দিনে আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে রাশিয়া। মঙ্গলবার ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। রুশ আক্রমণের তীর পৌঁছেছে শহরটির প্রশাসনিক ভবনেও। এ ঘটনায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও।
এটি ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের মঙ্গলবারের চিত্র। এদিন রাশিয়ার মিসাইল হামলায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় শহরটির প্রশাসনিক ভবন।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, বেসামরিক লোকদের টার্গেট করে এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। খারকিভে বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা চালিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া, ওই হামলায় ডজনখানেক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের অভ্যন্তরে নজিরবিহীনভাবে সেনা বৃদ্ধি করছে রাশিয়া। এরই মধ্যে রুশ সেনা সংখ্যা ৪০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়। তাছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের জেষ্ঠ্য সামরিক কর্মকর্তাও ইউক্রেনে রাশিয়ার ৭৫ শতাংশ সেনার উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন।
এ ঘটনায় দেশ রক্ষায় লড়াই করতে বন্দিদের মুক্তি দেয়ার কথা ভাবছে কিয়েভ। সেইসঙ্গে ইউক্রেনে রুশ প্লেনের জন্য নো ফ্লাই জোন তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জেলেনস্কি। তবে তার এই আহ্বানে সাড়া দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের শংকা, এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাত শুরু হয়ে যেতে পারে।
news24bd.tv/আলী