ধর্ষণের পর জ্যোৎস্নাকে ৬ টুকরো করে জিতেশ চন্দ্র

সংগৃহীত ছবি

আদালতে জবানবন্দী

ধর্ষণের পর জ্যোৎস্নাকে ৬ টুকরো করে জিতেশ চন্দ্র

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) গণধর্ষণ ও ৬ টুকরো করে লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত তিন আসামির মধ্য প্রধান আসামি জগন্নাথপুরের অভি মেডিকেল হল ফার্মেসির মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ দ্বারা জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

মঙ্গলবার (০১ মার্চ) বিকালে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে প্রধান আসামি  ১৬৪ দ্বারা জবানবন্দী প্রদান করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) পরিদর্শক লিটন দেওয়ান।

তিনি বলেন, শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি জিতেশ চন্দ্র গোপ দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ দ্বারা জবান বন্দী দিয়েছেন।

পরে আদালত তাকে কারাগারে পাটানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুর রহিমের আদালতে মামলাট তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) পরিদর্শক লিটন দেওয়ান তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত তাদের ৮দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহানের আদালতে হাজির করে আবারও তদন্তকারী কর্মকর্তা তিন আসামির আরো ৮ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে জগন্নাথপুরের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর গভীর রাতে ফার্মেসির ভেতর এনার্জি ড্রিংকস খেয়ে তাকে ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করার কথা বলায় শ্বাসরোধে শাহনাজকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরা করা হয়। পরে লাশ গুমেরও পরিকল্পনা করে ধর্ষকরা। রাজধানী ও সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শাহনাজ হত্যার মূল তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

news24bd.tv/আলী