ব্রিজ নেই, সাঁকো-ই ভরসা তাদের

বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে ভ্যান।

ব্রিজ নেই, সাঁকো-ই ভরসা তাদের

নাসিম উদ্দীন নাসিম, নাটোর

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নন্দকুজার শাখা গোমতী নদী। এই নদীর উপর আজও একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি । ফলে গুরুদাসপুর ও তাড়াশ উপজেলার অন্তত ১৩ গ্রামের মানুষ চলে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে।

এলাকাবাসীর দাবি, এখানে একটি দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করা হোক।

তাহলে ফসল আনা-নেওয়া, এলাকাবাসীর চলাচল ও রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে সুবিধা হবে। কমবে ভোগান্তি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপাড়া সরকারি আলিয়া মডেল মাদ্রাসার পাশ দিয়ে গোমতী নদীর ওপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সাঁকোতে নদী পারাপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

পাকা ব্রিজ না থাকায় সাঁকোতে প্রতিনিয়ত গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা, রাণীগ্রাম, হাসমারী, খুবজিপুর, শিকারপুর,
সাহাপুর, বামনকোলা ও তাড়াশের কুদইল, সগুনা, কাটাবাড়ি, কামারশন, মাকরশনসহ অন্তত ১৩ গ্রামের মানুষ পারাপার হয়।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গুরুসপুরের চাঁচকৈড় ও শিকারপুর বাজারে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। হাটে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে এই সাঁকো পার হয়ে। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় এবং শুষ্ক মৌসুমে সাঁকোতে। এছাড়াও হাটের পাশেই রয়েছে মহসিন আলী কলেজ, শিকারপাড়া সরকারি আলিয়া মডেল মাদ্রাসা, শিকারপুর কৃষি কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়।

এইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়। তাছাড়াও যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থদের নিয়ে নদী পারাপার করতে দুর্ভোগের শিকার হাতে হয়।

অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের ভ্যানে করে পারাপার করতে হয়।

এছাড়াও কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পরিবহনেও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা গ্রামের কৃষক মো. আলাল উদ্দিন বলেন, নদীর উত্তর পার অর্থাৎ তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশির ভাগ কৃষিজমির মালিক গুরুদাসপুর উপজেলার মানুষের। ফসল আনা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে।

উপজেলার রাণীগ্রামের কৃষক মো. হারুন সরদার জানান, তাড়াশ উপজেলার সগুনা গ্রামে তারর ১৫ বিঘা জমি আছে। সেখানে
বোরো চাষ করেছেন। এই নদীর ওপর দিয়ে তার চলাচল করতে হয়। ব্রিজ না থাকায় অতিরিক্ত খরচ হয়।

সাঁকোর ইজারাদার মো. এরশাদ আলী বলেন, বর্ষা মৌসুমে নৌকায় এবং শুষ্ক মৌসুমে নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নদী পারাপার করা হয়। নদী পারাপারের জন্য জনপ্রতি পাঁচ টাকা নেওয়া হয়।

গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বারী বলেন, তিনি এই ইউনিয়নে নতুন চেয়ারম্যান। তিনি ব্রিজ নির্মাণের জন্য চেষ্টা করবেন।

news24bd.tv তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর