সব বাধা পেরিয়ে, রাতের আঁধার ভেঙ্গে ভয়কে জয় করার গল্পে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলার নারীরা। সশস্ত্র বাহিনী থেকে আমলাতন্ত্র কিংবা শিল্পকারখানা। সবখানেই এখন নারীর দৃপ্ত পদচারণা। এর বিপরীত দিকটাও বেশ প্রকট।
প্রতিদিন দীপ্ত পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলার নারীরা। তাদের এই সাফল্যের আড়ালে কখনো কখনো হারিয়ে যায় জীবন যুদ্ধের অনেক গল্প। আর নারী বলেই যেন, কয়েকগুন চ্যালেঞ্জ জিততে হয় প্রতিদিন ।
এই কয়েক বছরে, সশস্ত্র বাহিনী থেকে পুলিশ বা বিজিবিতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়নকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। শিক্ষা কিংবা শিল্পখাতে নারীর অংশগ্রহণ এখন নতুন কোন বিষয় নয়। আমলাতন্ত্রে তৃনমূল থেকে সর্বেোচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা।
ভুমি কিংবা দাপ্তরিক জরিপের মতো কঠিন হিসেব-নিকেশের অকপটে অংকও কষছেন তারা। ।
নারীর এই এগিয়ে যাওয়ার গল্পের বিপরীতেও আছে নির্মম বঞ্চনার ঘটনা। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈশ্বিক লিঙ্গবৈষম্য প্রতিবেদন বলছে, নারী-পুরুষের সমতার দিক থেকে বিশ্বের ১৫৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৬৫ তম। অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এই চার সূচকের তিনটিতেই পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘ বলছে, সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহন এখনো কম। সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত পদেও নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় নগন্য। তাই সমতার বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশকে হাঁটতে হবে আরো বহুপথ।
news24bd.tv/আলী