লক্ষ্মীপুরে গরু ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পলাতক শ্বশুর

গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পলাতক শ্বশুর

লক্ষ্মীপুরে গরু ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পলাতক শ্বশুর

সাইদুল ইসলাম পাবেল, লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে গরু ঘর থেকে সিমু আক্তার নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ১১টার দিকে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত সিমুর পরিবারের দাবি, পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এটি।

ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর শ্বশুর হারিছ মাঝি পলাতক রয়েছে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, চরমনসা গ্রামের ওমান প্রবাসী আবুল বাশারের সঙ্গে ৮ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী কুশাখালি ইউনিয়িনের বাসিন্দা সিরাজ মিয়ার মেয়ে সিমুর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৬ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সিমুর সঙ্গে প্রায়ই শ্বশুর হারিছ মাঝি, শাশুড়ি রহিমা বেগম, ৩ ননদের ঝগড়া বিবাদ হয়ে আসছিল।

মঙ্গলবার রাতেও সিমুর শাশুড়ি মুঠোফোনে তার ছেলে বাশারের কাছে সিমুর নামে বিচার দেয়। এর আগে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদরাও তাকে বকাঝকা করে। রাতেই বাশার তার শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন দেয়। এসময় সিমুকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ধমক দেওয়া হয়। সিমুর সঙ্গে সংসার না করার হুমকি দেন বলেও জানান পরিবার।

এর জের ধরে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গরুর ঘরে ফাঁস লাগিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেন নিহতের স্বজনরা।

পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ে ওই বাড়িতে।  

সিমুর মা বকুল বেগম বলেন, 'আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই'।

লক্ষ্মীপুরে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান ওসি।

news24bd.tv রিমু