ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক শক্তিধর রাশিয়ার জয়ের সম্ভবনা বেশি হলেও যুদ্ধ জয়ে দারুণ আশাবাদী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তবে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, কে কতটা শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করছে, তার ওপর নির্ভর করছে যুদ্ধের সফলতা।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। যুদ্ধবিমান, ইঞ্জিন, ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়া যান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অনেক ধরনের অস্ত্র বিক্রি করে দেশটি।
স্বল্প পাল্লার হলেও রাশিয়ার শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ইসকান্দার নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া কয়েক শ’ ইসকান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার টিওএস-১ হলো একটি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবস্থা।
থ্রিএম-১৪ কালিবর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে পারা এ ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল। ইউক্রেনের ভূমিতে হামলায় এটি ব্যবহার করছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনের সামরিক শক্তি অনেক কম। ইউক্রেনের অস্ত্রাগারে থাকা অস্ত্রের বেশির ভাগ পশ্চিমাদের দেওয়া। আকাশপথে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রধান একটি অস্ত্র হয়ে উঠেছে তুরস্কের তৈরি বায়রাক্তার-টিবি-২ ড্রোন। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে ইউক্রেনকে কয়েকশ এনএলএডব্লিউ অস্ত্র দিয়েছে বৃটেন। ট্যাংক বিধ্বংসী এই অস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৮০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের পাঠানো স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি থেকে সর্বোচ্চ ৮ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এর মাধ্যমে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার অনেক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এফজিএম-১৪৮ জ্যাভেলিন সর্বোচ্চ ৪ কিলোমিটার দূর থেকে ট্যাংক ধ্বংস করতে পারে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপনাস্ত্রটি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।
news24bd.tv/আলী