বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক কর্মী, রাজনীতিক নেতা কারো নিরাপত্তা নেই। তাই আসুন দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষকে রক্ষা করার জন্য, স্বাধীনতার যেই আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আরেকটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭৫ সালে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে, পত্র-পত্রিকা বন্ধ করে, মানুষের কথা বলার ক্ষমতা রুদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ওখানে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সব প্রত্যাশা ভূলুণ্ঠিত হয়ে গেছে। সেখান থেকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়ে মুক্ত সমাজ নির্মাণের আশা-আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলেছিলেন।
‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসলো মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের অবৈধ সরকার।
সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সব মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে একটি ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের নাম করে তারা আবারও বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। এখন দেশে কোনো জবাবদিহিতা নেই। জবাবদিহিতা নেই বলেই যথেষ্ট দুর্নীতি করছে, চুরি করছে, ডাকাতি করছে, মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, সম্পদ বিদেশে পাচার করছে এবং গণমানুষের ওপর অত্যাচার করছে। এভাবে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
news24bd.tv তৌহিদ