ঢাবিতে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদযাপন

সংগৃহীত ছবি

ঢাবিতে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক

২১ মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস। বাংলাদেশে ২০১৪ সাল থেকে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ শুরু থেকেই দেশীয় পর্যায়ে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিতকরণে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, আমডা বাংলাদেশ যৌথভাবে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করে।

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থবারের মত বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদযাপিত হলো।

'একীভূত সমাজ ব্যবস্থা, অংশগ্রহনে বাড়ায় আস্থা’ এই শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচীর মাধ্যমে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস ২০২২ পালিত হয়। সকালে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু, কিশোর ও ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তন থেকে শুরু হয়। র‌্যালি শেষে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমাজের সর্বস্তরে অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিতকরণে একটি বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপার্সন তাওহিদা জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সরদার এ নাঈম, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানী। স্বাগত ভাষন দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ।

ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার এ রাজ্জাক বলেন, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ সুবিধা বঞ্চিত ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এছাড়া দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের একীভূত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।  

নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. গোলাম রব্বানী বলেন, সমাজ বিনির্মাণে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। তারা দেশের সম্পদ; তাদেরকে মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, সত্যিকার অর্থে সামাজিক অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করার জন্য ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। একই সাথে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের মানসিক বিকাশে পরিবারকে সমানভাবে দায়িত্বপালন করতে হবে।  

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সামাজিক অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিতকরনে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি গবেষণার ওপর জোর দেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ডাউন সিনড্রোম ইস্যুতে গবেষণা কাজের মাধ্যমে নতুন নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। দিবসটি উদযাপনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন বিশেষায়িত স্কুল থেকে আগত ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, কিশোর ও ব্যক্তিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা সকলের  দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

news24bd.tv/এআর-কাবুল