‘ভুল আমিও করেছি, বাচ্চাদের কোনো দোষ নেই'

‘ভুল আমিও করেছি, বাচ্চাদের কোনো দোষ নেই'

‘ভুল আমিও করেছি, বাচ্চাদের কোনো দোষ নেই'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ছোট ও বড় পর্দার একসময়ের জনপ্রিয় তারকা শ্রাবন্তী দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। গত ২৫ জুন তিনি দেশে এসেছেন। এর আগে গত ৭ মে তাঁকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন তাঁর স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। জানা গেছে, বগুড়া সদরের কালীতলার শিববাড়ি সড়কে শ্রাবন্তীর বাবার বাসার ঠিকানায় এই নোটিশ পাঠানো হয়।

কিন্তু ওই সময় তা কেউ গ্রহণ করেননি।

শ্রাবন্তী আগেই জানিয়েছেন, তিনি এ ধরনের কোনো কাগজ হাতে পাননি। অন্যদের কাছ থেকে এই তালাকের নোটিশের কথা জানতে পেরেছেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত দেশে এসেছেন।

তাঁদের বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলমের বয়স সাত আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে তিন বছর।

শ্রাবন্তীর স্বামী খোরশেদ আলম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। পাশাপাশি তিনি এনটিভির মহাব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান) ছিলেন। কাজ করেছেন চ্যানেল নাইনে। এখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েই আছেন। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে শ্রাবন্তী বা তাঁর বাচ্চাদের দেখা হয়নি। স্বামীর সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। গত রোববার সকালে শ্রাবন্তী বলেন, ‘প্লিজ, আমার সংসারটা বাঁচান। আমি সংসার ভাঙতে দেব না। ’

শ্রাবন্তীর এই আবেদনের পর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই আলাদাভাবে শ্রাবন্তী ও খোরশেদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কোনো ফল তাঁরা পাননি। অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চু আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, ‘যদিও এটা পারিবারিক ব্যাপার, তারপরও আমরা যুক্ত হয়েছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ’

-----------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন :ছেলের জন্মদিন পালন না করায় মা’র আত্মহত্যা
-----------------------------------------------------------------

ফেসবুকে শ্রাবন্তী আরও লিখেছেন, ‘বাচ্চাদের কোনো দোষ নেই। ওদের মাকেও প্রয়োজন, বাবাকেও প্রয়োজন। ওরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সবাই দোয়া করবেন, আমার বাচ্চারা যেন সুস্থ থাকতে পারে। মা-বাবা দুজনকেই যেন ওরা কাছে পায়। আমার বাচ্চাদের সঙ্গে অন্যায় না হোক, এটাই আমার চাওয়া। ’

শ্রাবন্তী এর আগে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘২৫ জুন দেশে এসেই বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আমি মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে রামপুরা বনশ্রীতে আলমের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু আমাকে আর বাচ্চাদের বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ঢাকায় আমার নিজের কোনো বাসা নেই। শেষে পরিচিতদের সহযোগিতায় এক মামাতো ভাইয়ের বাসায় যাই। এরপর এখন পর্যন্ত আলম আমার সঙ্গে, এমনকি বাচ্চাদের সঙ্গেও দেখা করেনি। বাচ্চাদের কোনো খোঁজ নেয়নি। ’ এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে পরে খোরশেদ আলম জানান, ওই সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।

এদিকে শ্রাবন্তী স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগও করেছেন। এ ছাড়া গত ২৬ জুন রাজধানীর খিলগাঁও থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আর যৌতুকের মামলা করেছেন তিনি।

খোরশেদ আলম বলেছেন, ‘আমি অনেক ছাড় দিয়ে শ্রাবন্তীকে বিয়ে করেছিলাম। ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর আমাদের বিয়ে হয়। শ্রাবন্তীর যেসব ব্যাপারে ছাড় দিয়েছি, তা থেকে শ্রাবন্তী এতটুকু সরে আসেনি। এত দিন আমি ব্যাপারগুলো সামনে আনতে চাইনি, কারণ তা আমাদের কারও জন্যই ভালো হবে না। দিনে দিনে আমাদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব অনেক বেড়ে গেছে। পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস নেই বললেই চলে। যতটুকু অবশিষ্ট আছে, তা শেষ হওয়ার আগেই আমি সরে এসেছি। আমি চাইনি আমাদের সম্পর্কের ক্ষতিকর প্রভাব বাচ্চাদের ওপর পড়ুক। ’


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর