এলাকায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনগণের আস্থা অর্জনে নিয়মিত আয়োজন করেন গানের আসরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। আর এসবই হয় মুক্তিপণের টাকায়। বলছি, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মেম্বার জসিম ফকির ও তার পরিবারের কথা।
অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করাই ছিল এই চক্রের পারিবারিক ব্যবসা।মানুষের বিশ্বাস অর্জনে এলাকায় গানের আসরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নানা আয়োজন করলেও, কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই, স্থানীয় ইউপি মেম্বার জসিম ফকিরের অন্ধকার জগতের ভয়ঙ্কর রূপ। মূলত এই জনপ্রতিনিধির পেশা অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়।
ইরাকের একটি সুপার শপে কাজ করতেন মাইনুদ্দিন।
চক্রের মূলহোতা জসিম ফকির জানান, ১৭ বছর ইরাকে ছিলেন তিনি। এ সময় আপন ভাইসহ পরিবারের ১০ সদস্যদের সেখানে নিয়ে যান। তারাই সেখানে প্রবাসীদের অপহরণ করতো। আর তাদের কাজ ছিল মুক্তিপনের টাকা সংগ্রহ ও বিদেশ পাঠানো।
পুলিশ বলছে, শত শত প্রবাসী এই চক্রের মাধ্যমে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর গেল দুই সপ্তাহে শুধু জসিম ফকিরের একাউন্টে মুক্তিপণের টাকা ঢুকেছে ৩১ লাখ।
ফরিদপুর, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের বেশ কয়েকটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
news24bd.tv/ কামরুল