খুলনার কয়রা মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব ইকবাল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান। কয়রা থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার দুপুরে কয়রার দেয়াড়া গ্রামের বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের পর সন্ধ্যায় আদালতে পাঠানো হয়।
জানা যায়, ২১ মার্চ সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে সচিবকে মারধরের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং থানা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) উপস্থিত হয়।
এসময় ‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝি হয়েছে’ -এমন লিখিত নিয়ে ইকবালকে পরিবারের সাথে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে পরদিন ২২ মার্চ অসুস্থ অবস্থায় ইকবালকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশে বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। এতে তার হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম হয়েছে। ভয়ভীতি দেখানোর কারণে তিনি প্রথমে ঘটনাটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে লিখিত দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে খুলনার ৬৮ ইউনিয়নের সচিব ও হিসাব সহকারীরা কর্মবিরতি পালন করেন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।
এদিকে ওই ঘটনার সাতদিন পর সোমবার সকালে ইউপি সচিব ইকবাল হোসেন কয়রা থানায় চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বিকেল তিনটার দিকে পুলিশ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে। মুক্তির পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা জানান।
news24bd.tv তৌহিদ