ইউক্রেনে এখনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ সেনাবাহিনী। এরিমাঝে সংকট নিরসনে আবারো ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক।
শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত ইউক্রেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তবে, ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়া কিংবা ইউক্রেন কোনো পক্ষই একে অন্যকে ছাড় দিতে নারাজ। একদিকে যেমন রুশ বাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার, তেমনি মাটির ঋণ চোকাতে ইউক্রেনীয়দের নাছোড় অবস্থান।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে কিয়েভ থেকে পিছু হটছে রুশ বাহিনী। এছাড়া কমে এসেছে রাশিয়া থেকে ইউক্রেনমুখী সেনার ঢল। আবার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর চেরনোবিল থেকে রুশ সেনাদের সরে যাওয়ার খবর এক ভিডিও পোস্টে জানিয়েছেন স্থানীয় মেয়র।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যম এবিসি নিউজ বলছে, রাশিয়ান সেনাদের গতিবিধি নজরদারি করতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চেচেন বাহিনীর টিকটক ভিডিও পেয়েছে তারা। এর ফলে রাশান বাহিনীর পক্ষে তাদের যুদ্ধে ঢিলেমি রয়েছে কিনা, উঠছে সে প্রশ্নও।
হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সফর উপলক্ষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি অবিশ্বাস্যরকম বাস্তব।
এদিকে, শান্তি আলোচনায় নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিতে ইউক্রেন প্রস্তুত বলে জানালেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কি।
তিনি জানান, পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের মর্যাদা নিয়ে আপস করতে ইউক্রেন প্রস্তুত। পূর্ব থেকে পশ্চিমে ইউক্রেন অখন্ডতায় কাজ করবে জেনেলেস্কি।
news24bd.tv রিমু