প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঞ্চে উঠেই অস্কারজয়ী এ আর রহমান ‘জয় হো’ দিয়ে শুরু করেন তার গানের পরিবেশনা। এরপরই দর্শক মেতে ওঠে ‘মুককালা মোকাবেলা’র সেই চিরচেনা মেলোডি আর রিদমের ইন্দ্রজালে। সমগ্র মিরপুরের গ্যালারি দর্শকরাও গলা মেলায়, ‘ওলেও.. ওলে ও ও’তে। এরপর বেনি দয়ালের কণ্ঠে শোনা যায় ‘রাঙদে বাসন্তি’।
এরপর শুরু হয় ’৯৮-থেকে আজ অবধি কানে ঝড় তোলা ‘দিল সে রে..’ । রহমানের কণ্ঠে দর্শকরাও গলা মেলান, ‘প্রিয়া প্রিয়া জিয়া জিয়া’। বম্বে সিনেমার জন্য রাহমানের সিগনেচার গান ‘তুহি রে’ গেয়ে হরিহরণ আবার ঝড় তুললেন কনসার্টের যাবতীয় প্রেমিক হৃদয়ে। এরপর হারমোনিয়াম নিয়ে বসে পড়েন রহমান ও অন্য বাদ্যযন্ত্রীরা। পরিবেশন করেন কাওয়ালি ‘মাস্ত কালান্দার’ ও রকস্টার ছবির ‘কুন ফায়া কুন’।
এরপর বিখ্যাত ড্রামার শিবাজি মঞ্চে উঠতেই পুরো স্টেডিয়াম কেঁপে ওঠে দর্শকদের হর্ষধ্বণিতে। পানির জার থেকে শুরু করে বিচিত্র সব অণুষঙ্গ ব্যবহারে সিদ্ধহস্ত শিবাজি। দর্শক-শ্রোতারাও তাতে সাড়া দিয়েছেন বেশ।
জোনিতা গান্ধি ‘কেহনা হি কেয়া’ বলে টান দিতেই মঞ্চের আবহ বদলে যায় সঙ্গে সঙ্গে। এরপরই তুমুল জনপ্রিয় ‘আগার তুম সাথ হো’ গাইতেই গ্যালারিজুড়ে নেমে আসে মুগ্ধতার নীরবতা।
এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এ আর রাহমান। বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে বলেন ‘জয় বাংলা’।
হাজারো দর্শককে অশ্রুসজল করে দিলেন ‘জয় বাংলা জয় বাংলা জয় বাংলাদেশ’ গেয়ে। রাহমানের সুর করা গানটি লিখেছেন গীতিকবি জুলফিকার রাসেল। এ সময় প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে মুগ্ধশ্রোতা হয়ে শোনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ আর রহমানের গানটি ভিডিও করতেও দেখা যায়।
এ গানটির পর পরই ‘আমার সোনার বাংলা... বলো জয় বঙ্গবন্ধু, বলো জয় বাংলা... এক দোস্ত মুজিব হে দিল মে...’ গান এ আর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা বেগম। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর এবং তাঁর স্ত্রী সাবরিনা সোবহানও উপস্থিত আছেন অনুষ্ঠানে।
এই কনসার্টের পৃষ্ঠপোষক দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করছে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোর।
news24bd.tv/আলী