অর্থনৈতিকভাবে কার্যত অচল শ্রীলঙ্কা 

মাসুদ রানা

অর্থনৈতিকভাবে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে রাজধানী কলম্বোসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দেশটির প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনের কাছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও হয়েছে। বিক্ষোভের পরে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোসহ কয়েকটি শহরে জারি করা কারফিউ প্রত্যাহার করা হলেও ঘটছে ধড়পাকড়ের ঘটনা।

চরম অর্থনৈতিক সংকটে ডুবতে থাকা শ্রীলঙ্কায় জ্বালানির মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশটির পরিবহন খাত থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণনে। সংকটে পড়ে দেশটির প্রধান শেয়ারবাজারে লেনদেনও বন্ধ । শ্রীলঙ্কাজুড়ে প্রতিদিনই ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকছে।

গেলদিন ১২ ঘন্টা বিদ্যুত ছিলো না, আজ ১৩ ঘন্টায় দাঁড়িয়েছে। আমরা কি ভয়াবহ দিন পার করছি তা সরকার বুঝতে পারছে না।

এটা একটা অভিশাপ। বিদ্যুৎ ছাড়া কাজ বন্ধ। দই, আইসক্রিম বা মাংসের পণ্য বিক্রি করতে পারছি না। এগুলো খুবই কঠিন সময়। সাথে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এভাবে বেঁচে থাকা খুব কঠিন।  

ক্ষুব্ধ মানুষ সরকারের ব্যর্থতার নিন্দা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপক্ষের বাসভবনের সামনে বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভ শুরু করে যা  সহিংসতায় রূপ  নেয়। শতাধিক বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢোকার চেষ্টাও করেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ও কাঁদানে গ্যাসসে গুরুতর আহত হয় বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে  জারি করা হয় কারফিউ। তবে সকালে তা প্রত্যাহার করা হয়। এই ঘটনায় অন্তত ৪৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গ্যাস ও পানির তীব্র সংকট, খাদ্য সংকট, প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশচুম্বী দামসহ নানা সমস্যার বেড়াজালে আটকা পড়েছে শ্রীলঙ্কার মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুণ হয়ে এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাওয়ায় দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশটি।

news24bd.tv/আলী