মহান মহিয়ান আল্লাহ তাআলার পছন্দনীয় আত্মসম্মানবোধ হলো, সন্দেহ ও বদনামের ক্ষেত্রে (আত্মসম্মানবোধ)। আর মহান মহিয়ান আল্লাহ তাআলার অপছন্দনীয় আত্মসম্মানবোধ হলো সন্দেহ ও বদনামের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য স্থানের (সম্মানবোধ)। মহান মহিয়ান আল্লাহ তাআলার পছন্দনীয় অহং হলো জিহাদের সময় ও দান করার সময় বাহাদুরি করা। আর মহান মহিয়ান আল্লাহ তাআলার অপছন্দনীয় বাহাদুরি হলো অন্যায় ক্ষেত্রে (বীরত্ব করা)।
অর্থাৎ যে আত্মসম্মানবোধ মানুষকে গুনাহ থেকে হারামে লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে, তা আল্লাহর কাছে প্রিয়। যে বাহাদুরি মানুষকে আল্লাহর কলেমার পতাকা উড্ডিনে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষের দূঃখ-দুর্দশা দূরীকরণে খরচ করার মতো মনোবল দেয়, সে বাহাদুরি আল্লাহ পছন্দ করেন।
জাবির (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, এমন কিছু আত্মসম্মানবোধ আছে, যা মহা মহিয়ান আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন, আবার তা (আত্মসম্মানবোধ) এমনও কিছু আছে, যা মহান মহিয়ান আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন।
আত্মমর্যাদাবোধ মুমিনের ভূষণ।
মহান আল্লাহ যাদের ভালোবাসেন, তাদের আত্মমর্যাদাবোধ দান করেন। ফলে তাঁর একনিষ্ঠ মুমিন বান্দারা যেকোনো কাজে আত্মনিয়োগ করতে পারে না। মুমিনের মর্যাদা হলো, মহান আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলায়। হারাম ও গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া আল্লাহর আত্মমর্যাদায় আঘাতের শামিল, যা কোনো মুমিনের জন্য কখনোই শোভা পায় না। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা স্বীয় আত্মমর্যাদাবোধ প্রকাশ করেন এবং মুমিনগণও স্বীয় আত্মমর্যাদাবোধ প্রকাশ করে। আল্লাহর আত্মমর্যাদায় আঘাত আসে যখন মুমিন আল্লাহ কর্তৃক হারাম কর্মে অগ্রসর হয়। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৮৮৮)
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হাদিসে নির্দেশিত আত্মমর্যাদাবোধ অর্জন করার তাওফিক দান করুন।
news24bd.tv/রিমু