আজ পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট দিবেন বিরোধিরা। তবে অনাস্থা ভোটে হারলেও পদত্যাগ করবেন না বলে ছাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইমরান খান। বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেন তিনি।
পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকার এরইমধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।
জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হারার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই ভোটে হারলেও কোন পথ বেছে নেবেন এমন প্রশ্নে ইমরান পদত্যাগে অনীহা প্রকাশ করেন।ইমরান খান বলেন, 'আমি পদত্যাগ করার কথা ভাবতেও পারি না। আমি শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে বিশ্বাস করি।
ইমরান খান আরও বলেন, তিনি কখনো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যাবেন না। পাকিস্তানের অস্তিত্বের জন্য শক্তিশালী সেনাবাহিনী প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কীভাবে নির্বাচিত হবে, সে নিয়ে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের নিয়ম ও কার্যপ্রণালিতে বলা রয়েছে, যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ শূন্য হয়, তাহলে জাতীয় পরিষদ নতুন একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া শুরু করবে। জাতীয় পরিষদের যেকোনো সদস্য প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নিজের বা অন্য কোনো মুসলিম প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করতে পারেন।
সব প্রক্রিয়া শেষে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর স্পিকার ভোটের ফল প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবেন। এরপর সচিব নির্বাচিত ওই প্রধানমন্ত্রীর নাম জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। পাকিস্তানের সংবিধানের ৯৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নতুন উত্তরসূরির শপথের আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাবেন প্রেসিডেন্ট।
রাজনৈতিক জীবনে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দেশের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে বিপর্যয় ডেকে আনার। এই অভিযোগে বিরোধী দলগুলো তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। আজ রোববার সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
News24bd.tv/রিমু