দেনার দায়ে ডুবতে বসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমেছে তলানিতে। ডলার সংকটে জ্বালানীসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ আমদানি করতে পারছে না লঙ্কানরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটির অর্থনীতির প্রাণভোমরা পর্যটন খাতে ধ্বসের ফলেই লেজেগোবরের অবস্থা পরিনিত হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার মোট উৎপাদন বা জিডিপি‘র প্রায় বিশ ভাগ আসে পর্যটন খাত থেকে। ২০১৯ সালে চার্চে সিরিজ বোমা হামলার পর এ খাতে ধস নামে। এরপর করোনার দুই বছরে সেটি আর ঘুরে দাড়ায়নি।
বিপরীতে একের পর এক মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে গিয়ে আড়াই হাজার কোটি ডলারের বিদেশি ঋণের ফাঁদে পরে যায় রাজাপাকসে সরকার। কিন্ত দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির কারণে এসব প্রকল্প চালু না হলেও শেষ হয়েছে ঋণ পরিশোধের সময়মসীমা। হিসেব বলেছ, এ বছরই ৭০০ কোটি ডলারই পরিশোধ করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। অথচ সরকারের হাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে মাত্র ২৩০ কোটি ডলার।
শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে করের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনে প্রধানমন্ত্রী গোটাবায়া রাজাপাকসে। এতে বাজেট ঘাটতিতে পড়লে মুদ্রা ছাপিয়ে সেই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে দেশটি। এতে উল্টো ‘লাগাদ ছাড়ায় মূল্যস্ফিতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা দিয়েও থামানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ।
অর্থ নীতিবিদরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতি সতর্কবার্তা দিচ্ছে বাংলাদেশকেও। তাই এখনই সাবধানী নীতি গ্রহণের পরামর্শ তাদের।
শ্রীলঙ্কা অর্থ সংকটে ২৫ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দফায় আবারও ঋণ চাইলেও সেটি দিতে রাজি হয়নি সরকার।
News24bd.tv/Kamrul