গাজীপুরের শ্রীপুরে ইফতার আনতে গিয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মামুন (২৫) নিখোঁজ রয়েছেন। স্বজনদের দাবি, সাঁতরে নদী পাড় হওয়ার সময় মাঝ নদীতে মামুন তলিয়ে গেছে।
রোববার বিকালে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের রায়েদ গোদারা ঘাট এলাকায় শতীলক্ষ্যা নদীতে। আজ সোমবার দুপুর ১টা থেকে ডুবুরী দল মামুনের সন্ধানে অভিযান শুরু করে।
পুলিশ বলছে, মামুন নামের ওই যুবক একটি মামলার পরোয়ানা ভুক্ত পলাতক আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার অভিযান চলাকালে পালাতে গিয়ে তিনি নদীতে ঝাপ দেন।
জানা যায়, মামুন রোজা রেখে ছিল। রোববার বিকেল পৌনে চারটার দিকে ইফতার আনতে যায়।
মামুনের বড় ভাই মাসুম অভিযোগ করে বলেন, শ্রীপুর থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এ.এস.আই) শাকিল আহম্মেদসহ আরও ২/৩ জন সাদা পোষাকের পুলিশ ইনফরমার রৌশনকে সাথে নিয়ে মামুনকে ধরতে আসেন। মামুন দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তার পিছু ধাওয়া করে। নদীর পাশে ঝোপের ভিতর পুলিশ মামুনকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেয়। প্রায় ৩০ ফুট গভীর শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে যায় মামুন। গাঁ সাতরে নদী পার হবার সময় সে মাঝ নদীতে তলিয়ে যায়। নদীর পাড়ে আসা স্থানীয়রা মামুনের তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পরেন।
মাসুম বলেন, পাড়ে দাঁড়িয়ে তিনি দেখেছেন মাঝ নদীতে দুই হাত দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করতে করতেই তার ভাই তলিয়ে গেছে।
শ্রীপুর থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এ.এস.আই) শাকিল আহম্মেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামুন শ্রীপুর থানার ২৬(৬)২১ নং দস্যুতা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। রোববার বিকেলে তিনি গোপনে সংবাদ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে দৌড়ে পালাতে গিয়ে নদীতে ঝাপ দেয়।
এদিকে, মামুন নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও তার সন্ধান পায়নি পরিবার। সোমবার বেলা ১টা থেকে ডুবুরী দল শীতলক্ষ্যা নদীতে মামুনের মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র সরকার বলেন, সোমবার বিকেলেও ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত মামুনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
news24bd.tv/রিমু