ইফতারে যে কারণে বেশি পানীয় খাবেন

প্রতীকী ছবি

ইফতারে যে কারণে বেশি পানীয় খাবেন

অনলাইন ডেস্ক

চলছে পবিত্র মাহে রমজান। ইফতারে যে যার সাদ্যমত ইফতারি তৈরি করেন। সারদিন রোজা রাখার পর ইফতারে পানি পান করা নিয়ে অনেকেই অবহেলা করেন। ফলে শরীরে নান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

হতে পারে হজমের সমস্যাও।

সারদিন রোজা রাখার পর শরীরে যে পানি শূন্যতা তৈরি হয় সেটি পূরণ করতে ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। না খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই ইফতারের পানি, চিনি ছাড়া ফলের জুস, লেবুসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলের শরবত খেতে পারেন।

* পানি পান করতে হবে শরীরের প্রয়োজন বুঝে। পর্যাপ্ত পানি পান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সচল রাখে।

* ইফতারে প্রথমেই তৃষ্ণা বা ক্লান্তি মেটাতে পুষ্টিকর শরবত বেশ কার্যকর। খেতে পারেন খেজুর-পেস্তার শরবত, মাল্টার জুস, লেবুর শরবত, কলা-দুধের স্মুদি, কাঁচা আমের শরবত, পাকা আমের লাচ্ছি, তরমুজের শরবত, বেলের শরবত এবং ইসবগুল-তোকমার শরবত।

* পানি পান করলে ক্লান্তি, ঘুমঘুম ভাবের বদলে শরীরে ফিরে আসে সতেজতা। ইফতারে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করলে শরীর বাড়তি শক্তি পাওয়া যায়।

ইফতারের খাবার এমন ভাবে খেতে হবে, যেখানে খাবারের পুষ্টিমান এবং পানি ও পানীয়ের সুষম বণ্টন থাকে। ডাবের পানি ইফতারের রাখতে পারেন। কারণ ডাবের পানিতে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেড, ভিটামিন ও মিনারেল আছে।  

যা করবেন না

* গরমে হাঁসফাঁস অবস্থায় ইফতারে অতিরিক্ত পিপাসা পায় বলে অনেকে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি পান করেন, যা ঠিক নয়। সারাদিন পর হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করলে শ্বাসনালীতে সমস্যা, রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়া, হজম সমস্যা ও দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।  

ইফতার করার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরে যাতে কোনোভাবেই পানিশূন্যতা তৈরি না হয়।

news24bd.tv/রিমু