অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য গমের বাম্পার ফলন হয়েছে কুষ্টিয়ায়। বিঘাপ্রতি ২০ মণ করে গম তুলছেন কৃষকরা। আর কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সুবিধায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে নিমিষেই গম কেটে মাড়াই ও ঝাড়াই করে নিচ্ছেন কৃষকরা। এতে খরচ, সময় ও পরিশ্রম তিনই কম লাগছে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গম চাষে আবার আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। এতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে দেশ।
ব্লাস্ট রোগের কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে কমে এসেছিল গমের চাষ। নতুন জাত পেয়ে গত দু'বছরে তা আবার বেড়েছে। কৃষকরা এবার আরও ভালো ফলন পাচ্ছেন। বিঘাপ্রতি ২০ মণ করে গম পাচ্ছেন তারা। সবচেয়ে বড় সুবিধা হয়েছে- কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে দেয়া কম্বাইন্ড হারভেস্টার পেয়ে। এই যন্ত্র নিমিষেই গম কেটে ক্ষেত থেকেই মাড়াই ও ঝাড়াই করে দিচ্ছে।
করোনা মহামারীতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ রয়েছে। গমের দাম ভাল পাওয়ায় সে লক্ষ্যও পূরণ হচ্ছে। কৃষকরা এখন এক হাজার একশ থেকে এক হাজার একশ পঞ্চাশ টাকা মণ দরে গম বিক্রি করতে পারছেন। এক বিঘা জমিতে লাভ থাকছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
এবার সবকিছু কৃষকের অনুকূলে তাই আগামিতে গম চাষ আরও বাড়বে বলে মনে করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাবুবিন ইসলাম।
এবার কুষ্টিয়া জেলাতেই গমের চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৫শ ৪৭ হেক্টর জমিতে।
news24bd.tv/কামরুল