পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে উচ্চ-সতর্কতা জারি

পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে উচ্চ-সতর্কতা জারি

অনলাইন ডেস্ক

শেষ বল পর্যন্ত খেলার ঘোষণা দিয়েও পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে হেরে ক্ষমতার মসনদ থেকে বোল্ড আউট হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর মধ্যে দিয়ে আবারও নতুন মোড় নিল পাকিস্তানের রাজনীতি। তবে এখন যিনিই ক্ষমতায় আসুক, তাকে  ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে নেতৃত্বে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ব্যাপাক নাটকিয়তার পর এদিকে ইসলামাবাদসহ পাকিস্তানের সব বিমানবন্দরে উচ্চ-সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দেশের ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণেই রোববার (১০ এপ্রিল) এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে প্রকাশ, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অভিবাসন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো সরকারি কর্মকর্তা অনাপত্তিপত্র ছাড়া ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না। শনি ও রোববারের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে বিবেচনায় নিয়ে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের ভেতরে, প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টগুলোতে বিমানবন্দর নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডোদের টহল বেড়েছে। দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সদন্ত সংস্থার অভিবাসন কর্মকর্তাদের আরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিদেশে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে দেশের সব সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অবশ্যই অনাপত্তিপত্র দেখাতে হবে। যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিদেশে যেতে চান, তবে তা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানাতে হবে।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সাবেক কোনো রাজনীতিবিদ কিংবা মন্ত্রীকে ঘিরে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আমাদের হাতে আসেনি। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এর আগে স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি পদত্যাগ করেছেন। এতে প্যানেলপ্রধান অনাস্থা ভোট পরিচালনা করেছেন।

news24bd.tv তৌহিদ