ইমরানের সময়ে ডলারের বিপরীতে পতন ঘটেছে রুপির

ইমরানের সময়ে ডলারের বিপরীতে পতন ঘটেছে রুপির

আসমা তুলি

শেষ বল পর্যন্ত খেলার ঘোষণা দিয়েও পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে হেরে ক্ষমতার মসনদ থেকে বোল্ড আউট হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর মধ্যে দিয়ে আবারও নতুন মোড় নিলো পাকিস্তানের রাজনীতি। তবে এখন যিনিই ক্ষমতায় আসুক, তাকে  ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে নেতৃত্বে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পাকিস্তানের রাজনীতিতে অস্থিরতা  নতুন কিছু নয়।

তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। গেল এক মাস ধরেই দেশটির রাজনৈতিক সংকট ছিল চরমে। ইমরান খানের বিরুদ্ধে উঠেছিল দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধীরা।
তবে দেশটির ২২ তম প্রধানমন্ত্রীর সামনে ছিল অনেক চ্যালেঞ্জ। তাঁর শাসনামলে পাকিস্তানে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। লাগামহীন হয়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। ডলারের বিপরীতে পতন ঘটেছে পাকিস্তানি রুপি। দেশটির ইতিহাসে কখনও রুপির দাম এতটা নামতে দেখা যায়নি।

শুধু মুদ্রার দরপতনই নয়, গত তিন বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতির চাকা অনেকটা মন্থর হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা ও শিল্প খাত বিচলিত। রুপির মূল্য হ্রাস, রিজার্ভ কমে যাওয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ রাজস্ব ঘাটতির ফলে দেশটির অর্থনীতি ইতিমধ্যে ভঙ্গুর। এখানেই শেষ নয়, এই ক্রিকেট লিজেন্ডের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদ দমনে ব্যর্থতার অভিযোগও ছিল।  

তাই আসছে দেশটির সর্বোচ্চ নেতার  প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি পুণরুদ্ধার। ভঙ্গুর ঋণ, চলমান মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্বল মুদ্রা গত তিন বছরে উন্নয়নকে স্থবির করে রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতির পুনরুত্থানে নীতিগত আমূল পরিবর্তন করতে হবে। কারণ মুদ্রাস্ম্ফীতি এখন ১২ শতাংশের ওপরে। বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১৩০ বিলিয়ন ডলার, যা জিডিপির ৪৩ শতাংশ। ডলারের তুলনায় রুপির মান নেমে এসেছে ১৮৫-তে।

নতুন সরকারের জন্য জঙ্গিবাদও বড় ও জটিল সংকট হিসেবে হাজির হতে পারে বলে মসে করা হচ্ছে। পাকিস্তানের নয়া নেতৃত্বকে ভাবতে হবে বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়েও। কারণ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের 'ষড়যন্ত্র' হিসেবে দেখছেন, তা দুই দেশের সম্পর্ককে তলানিতে নিয়ে গেছে।

news24bd.tv তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক