কোটালীপাড়ায় বাঙ্গির বাম্পার ফলন 

সংগৃহীত ছবি

কোটালীপাড়ায় বাঙ্গির বাম্পার ফলন 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের তরমুজ ও ফুটির (বাঙ্গি) জন্য প্রসিদ্ধ স্থান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া। সময় মত বীজ-সার পাওয়ার সাথে সাথে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। গত দুই বছরে ফলন ভালো হলেও করোনার কারণে বাজার মন্দ থাকায় লাভবান হতে পারেননি চাষীরা। কিন্তু এ বছর ফলন ও বাজার দুই ভালো হওয়ায় গত বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

রমজানে ফসল ওঠায় অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল দাম পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা হতে পাইকার এসে এখান থেকে বাঙ্গি নিয়ে ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন।  

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তেঁতুলবাড়ি, মাছপাড়া, নলুয়া, বুরুয়া, কুমুরিয়া, চকপুকুরিয়া ও হিজলবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে বাঙ্গি চাষ করছে ওইসব এলাকার কয়েক হাজার কৃষক। এসব গ্রামের কৃষকদের বাৎসরিক আয়ের অন্যতম উৎস হলো তরমুজ ও বাঙ্গি চাষ।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি সময়মত বীজ-সার পাওয়ায় ক্ষেতে ফলন খুব ভাল হয়েছে। প্রকারভেদে এক একটি বাঙ্গি ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন কৃষকরা। বিঘা প্রতি জমিতে বাঙ্গি চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বাকী সময় আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং ফল ঠিকমতো তুলতে পারলে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ করবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।  

রমজান মাসে বাঙ্গির ভালো চাহিদা থাকায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে ফসল তুলে রাস্তায় বা আড়তে আনা মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে পাইকাররা এসে এখান থেকে বাঙ্গি কিনে নিয়ে ব্যবসা করছেন।

স্থানীয় কৃষক সুভাষ হাওলাদার বলেন, গত দুই বছরও বাঙ্গীর চাষ করেছিলাম, ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে বাজার ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে ভালো দাম পাইনি। এবারও ফলন ভালো হয়েছে। ফল তোলার সময় রমজান থাকায় দাম ভালো পাচ্ছি। বাঙ্গি তোলা পর্যন্ত এ রকম দাম থাকলে আশা করি বেশ ভালো লাভ হবে।

আড়ৎদার অসিম হাওলাদার বলেন, কোটালীপাড়া এলাকায় প্রতি বছর কয়েকশ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গি চাষ হয়। প্রচুর ফলনও হয়। আমরা বছরের দুই মাস এখানে অস্থায়ী আড়ৎ করি। প্রচুর বেচা-কেনা হয়। এখানে বলতে গেলে সারা বাংলাদেশ হতে পাইকার আসে। এখান থেকে বাঙ্গি কিনে নিয়ে ব্যাপারিরা ব্যবসা করেন। আমরাও এই দুই মাসে কিছু টাকা আয় করি।

news24bd.tv/arkabul