পহেলা বৈশাখে মুখোশ পড়ে রমনায় প্রবেশ নিষেধ : ডিএমপি কমিশনার

ফাইল ছবি

পহেলা বৈশাখে মুখোশ পড়ে রমনায় প্রবেশ নিষেধ : ডিএমপি কমিশনার

অনলাইন ডেস্ক

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আসছে পহেলা বৈশাখে মুখোশ পড়ে রমনায় প্রবেশ করা যাবে না। এছাড়া, মঙ্গলশোভা যাত্রায় সবাইকে তল্লাশির মধ্য দিয়ে যোগ দিতে হবে। দুপুর ২ টার পর কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না বলেও জানান শফিকুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রমনা বটমূল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

তিনি জানান, জঙ্গিদের ব্যাপারে বেশ কিছু প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে সতর্ক করেছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানসহ বেশ কিছু দেশে যেকোনো সময়ে জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে তাই পহেলা বৈশাখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে, রমনা এলাকায় পুরোদমে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। দুয়ারে বঙ্গাব্দ ১৪২৯।

পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে তাই চলছে নানা ধরনের প্রস্তুতি। করোনার কারণে বাংলা বর্ষ বরণের উন্মুক্ত আয়োজন দুই বছর ছিল স্তিমিত। এ বছর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ফের ফিরে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, ফিরে আসছে রমনা বটমূলের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

দুপুরে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে রমনা বটমুল এলাকায় যান ডিএমপি কমিশনার। এসময় অনুষ্ঠান এলাকায় যেকোনো হামলা হলে কী ধরনের ব্যবস্থাপনা নেয়া হবে তার মহড়া করা হয়। এতে অংশ নেয় বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট, ডগ স্কোয়াড।

বন্ধুপ্রতিম দেশের জংগী সতর্কবার্তা মাথায় রেখে নিরাপত্তার দিকটি বিশেষভাবে বিবেচনা করে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে কমিশনার বলেন, পুরো এলাকাজুড়ে শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।  

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কিছু উগ্রবাদীর আনাগোনার তথ্য পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। যে কোনো হামলা ঘটলে তা সামাল দেয়ার প্রস্তুতি আছে ডিএমপির।

পহেলা বৈশাখের দিন সরকারি ছুটি থাকলেও সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়কে নিয়ন্ত্রণ করা হবে যানবাহন। বন্ধ থাকবে বেশ কিছু সড়ক। আর দুপুর ২ টার মধ্যে শেষ করতে হবে সকল অনুষ্ঠান।

news24bd.tv/রিমু