অভাবে যে আমল করবেন

সংগৃহীত ছবি

অভাবে যে আমল করবেন

অনলাইন ডেস্ক

বছরের শ্রেষ্ঠ মাস পবিত্র রমজানুল মোবারক। পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাস এই রমজান। এ মাসে একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে পবিত্র এই মাস মানবজাতির জন্য সর্বিশেষ নিয়ামত ও অনুকম্পার।

এই মাসে মুসলিম উম্মাহ অন্য মাসের তুলনায় বহু গুণে বেশি আমল করে থাকেন। এই রমজানের প্রতিটা দিনই প্রতিটা মুসলিমের জন্য অতীব মূল্যবান। রমজানে যেমন পাপ মোচন হয় তেমনি বান্দা আল্লাহর কাছে চাইলে তার মনেরও চাওয়াও পুর্ণ করেন।

জীবনে সুখ-দুঃখ, সবই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে।

তিনিই দান করতে পারেন সফলতা। দূর করতে পারেন অভাব-অনটন। তাই আমাদের আল্লাহ ও তাঁর প্রিয়নবী সা:-এর বাতলানো কিছু আমল করতে হবে। আল্লাহ চাহে তো, এতে সঙ্কীর্ণতা কেটে যাবে। ফিরে আসবে সচ্ছলতা।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রা ). এর মৃত্যুর সময়ের ঘটনা, তিনি যখন অসুস্থ হলেন (আর এ রোগেই তার মৃত্যু হয়), তখন হযরত উসমান (রা.)  তার নিকট আগমন করে জিজ্ঞেস করেন, আপনার কি কষ্ট? 

তিনি বললেন- আমার গুনাহ( অর্থাৎ গুনাহের চিন্তাই কষ্টের কারণ) ওসমান  (রা.) পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন- কোন কিছুর আকাঙ্ক্ষা আছে? 
তিনি বললেন- শুধু আমার প্রতিপালকের রহমতের। ওসমান (রা.) প্রশ্ন করলেন- আপনার জন্য কোন চিকিৎসাের ব্যবস্থা করবো কি? তিনি জবাব দিলেন- চিকিৎসক নিজেই তো আমাকে অসুস্থ করেছেন। হযরত ওসমান (রা.) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন- আপনার জন্য কিছু অর্থ-সম্পদের ব্যবস্থা করবো কি? তিনি জবাব দিলেন- এর আমার কেন প্রয়োজন নাই। ওসমান (রা.). বললেন- আপনার পরে অর্থ-সম্পদ আপনার কন্যাগণের কাজে লাগবে। তখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ  (রা.) বললেন- আপনি কি আমার কন্যাদের অভাবগ্রস্থ হওয়ার আশংকা করেন, অথচ আমি তাদেরকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছি, তারা যেন প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করে। কারণ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট শ্রবণ করেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত  করে, সে কখনো অভাবগ্রস্থ হবে না।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হুজুর সা. এরশাদ করেছেন- তোমরা সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করো, এবং তোমাদের সন্তানদের  তা শেখাও। এটি হলো “সুরাতুল গেনা”(প্রাচুর্যের সূরা)।

সূরা ওয়াকিয়া, খুব লম্বা কোন সূরা নয়, পৃষ্ঠার হিসেব করলে মাত্র ৩ পৃষ্ঠা। আর ছোট ছোট আয়াতে মাত্র ৯৬আয়াত। পড়তে লম্বা সময়ের প্রয়োজন হয় না। যাদের মুখস্থ, তারা মসজিদ থেকে ঘরে যেতে যেতে পরে নিতে পারবেন।  

তাফসিরে নূরুল কোরআনে আছে- যদি কোন ব্যক্তি একই মজলিসে ৪১বার সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করে, তবে তার আর্থিক প্রয়োজনের আয়োজন হবে।

হাদিস শরিফে প্রিয়নবী (সা:) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে যাবতীয় বিপদাপদ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিবেন এবং তাকে অকল্পনীয় স্থান থেকে রিজিক দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ : ১৫১৮)

 হজরত আবু হুরায়রা (রা:) বলেন, আমি প্রিয়নবী সা:-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তার জীবিকা প্রশস্ত করতে চায় এবং বাড়াতে চায় তার আয়ু সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। (বুখারি : ৫৯৮৫)

আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আজাব বড় কঠিন। ’ (সূরা ইবরাহিম : ০৭)
news24bd.tv/আলী