বাঙালির ক্ষয়িষ্ণু এক ধারা ‌‘শখের হাঁড়ি’

কাজী শাহেদ

শখের হাঁড়ি। নামের মধ্যে ফুটে ওঠে শৈল্পিক সৌন্দর্য আর সৌখিনতা। যে হাঁড়ির রঙ-বৈচিত্র্য আর প্রতীক দেখলেই মনে পরবে বাঙালিয়ানা। মেলা কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যাওয়া, শখের হাঁড়ির জুড়ি মেলা ভার।

ইতিহাসখ্যাত মৃৎশিল্পী বীতপাল ও ধীমান বরেন্দ্রভূমিতে হাজার বছর আগে তৈরি করেছিলেন চিত্রকলা ও ভাস্কর্যের বিখ্যাত এক ঘরানা। সেই ঘরানার ক্ষয়িষ্ণু এক ধারা আজও প্রবহমান রাজশাহীর কুমারদের ঘরে ঘরে। কুমাররা নকশাদার হাঁড়ি তৈরি করলেও বিষয়বৈচিত্র্য এবং ব্যবহার উপযোগিতার কথা বিবেচনায় রাজশাহীর চিত্রিত শখের হাঁড়িই বিখ্যাত।

শাখী মেলা থেকে মুড়ি-মুড়কি কিংবা মেয়ের বিয়েতে শখের হাঁড়িভর্তি মিষ্টি উপহার হিসেবে পাঠানো, একসময় এটা ছিল রাজশাহীর মানুষের বিশেষ রীতি।

এ অঞ্চলের লোকসংস্কৃতি ও জীবনযাপনে শখের হাঁড়ি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে চিহ্নিত।  

কালের বিবর্তন ও আধুনিকতার গ্রাসে লোকজ ঐতিহ্য প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। যেটুকু টিকে আছে, তাকে রক্ষায় সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ শিল্পী সুশান্ত পালের।

সুশান্ত পালের পরবর্তী প্রজন্ম এই শিল্পের প্রতি আগ্রহী নয়। তার অবর্তমানে শখের হাঁড়ির ঐতিহ্য মুছে যাবে চিরতরে।

news24bd.tv তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক