ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষ

আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ রণক্ষেত্র (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক

মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান বলে বিবেচিত। আর ইহুদিদের কাছে এটি খ্যাত ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে। তারাও এটিকে তাদের অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। বছরের পর বছর চলতে থাকা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের মূলে রয়েছে এই পবিত্র মসজিদ।

ইসরায়েলের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের এই পবিত্র আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকালে এ সংঘর্ষ হয়। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়েছে।

ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরাও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে।

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদে হামলা চালিয়ে ১৫০ ফিলিস্তিনি আহত করেছে। ফিলিস্তিনিদের আটকে রেখেছে ইসরায়েলি পুলিশ। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের এক সদস্য ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সাতজন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা বেশিরভাগ আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তবে কয়েক ডজন আহত লোক মসজিদ কম্পাউন্ডের ভেতরে আটকা পড়েছে। ঘটনাস্থলে একজন প্রহরীর চোখে রাবার বুলেট লাগে।  কিন্তু আহতদের সুস্থ করতে ইসরায়েলি বাহিনী মসজিদে অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের আগমনে বাধা দিয়েছে।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ বলছে, বুধবার থেকে ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর ভোর হওয়ার আগেই ইসরায়েলি পুলিশ প্রবেশ করে।  ইসরায়েলি পুলিশের দাবি, পবিত্র আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে পাথর ছুড়ছিল একদল মানুষ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে পুলিশ। তারা সর্বশেষ কমপক্ষে তিনশ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে শুক্রবারের ঘটনায়।

রয়টার্সের ভিডিওতে দাঙ্গা মোকাবেলায় উপযুক্ত পোশাক ও সরঞ্জাম পরে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে অল্প কজনের একটি দলকে ধাওয়া দিতে দেখা গেছে।  সংঘর্ষের জন্য ইসরায়েলি পুলিশকে দায় দিয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামী গোষ্ঠী হামাস।  এর পরিণতি ভোগ করতে হবে ইসরায়েলকে, বলেছে তারা।

উল্লেখ্য, গত বছর রমজান মাসেও আল–আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে গাজার সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ১১ দিন ধরে সংঘাত হয়েছে। এ ধরনের হামলা ঠেকানোর প্রচেষ্টায় চলতি বছর রমজান শুরুর আগে আলোচনা জোরদার করেছিল ইসরায়েল ও জর্ডান। উল্লেখ্য, জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর তদারক ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে থাকে জর্ডান।

news24bd.tv/desk