কাঁচা আম দিয়ে জিলাপি বানানোর ভূয়া প্রচারণা, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

সংগৃহীত ছবি

কাঁচা আম দিয়ে জিলাপি বানানোর ভূয়া প্রচারণা, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহী নগরীর ভদ্রা ও উপশহর নিউ মার্কেট এলাকায় আম দিয়ে জিলাপি বানান জনৈক আরাফাত রুবেলের 'রসগোল্লা' নামের এক প্রতিষ্ঠান। গত ৭ এপ্রিল থেকে এমন প্রচার চালিয়ে তার দোকান থেকে মিষ্টি বিক্রি হচ্ছিল প্রচুর। ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল এই জিলাপি। কিন্তু কারো কারো সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি ভোক্তা অধিকারকে জানানো হয়।

এরপর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মো. হাসান-আল-মারুফ অভিযানে গিয়ে দেখতে পান, ফুড কালার ব্যবহার করে জিলাপির রঙ আনা হচ্ছে আমের মতো। তবে সামান্য কিছু কাঁচা আম ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন প্রতারণা করায় দোকানিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৩টার দিকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও বিএসটিআই যৌথ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।

অভিযানের সময় রাজশাহী মহানগরের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, রাজশাহী বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক দেবব্রত বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

হাসান-আল-মারুফ বলেন, রাজশাহীতে আলোচনায় ছিল কাঁচা আম দিয়ে জিলাপি বানানোর খবর। অনেক ভোক্তা তাঁদের কাঁছে ও মহানগর পুলিশের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছিলেন যে, এই মৌসুমে কীভাবে আম দিয়ে জিলাপি বানানো হয়? পরে এর সত্যতা জানতে নগরের উপশহর এলাকায় আরাফাত রুবেলের ‘রসগোল্লা’ নামে মিষ্টির দোকানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, জিলাপির ওপর গুটি গুটি আাম রাখা। এর পাশেই রাসায়নিক কালার ফুড গ্রেইন পেস্ট রাখা আছে। এটা আমের তৈরি জিলাপি নয়, এটাকে বলা যায় আমের ফ্লেভারের জিলাপি। কিন্তু রুবেল এটা আমের তৈরি জিলাপি বলে প্রচার চালিয়ে ভোক্তাদের কাছে প্রতারণা করেছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এটা ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজ। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আরাফাত রুবেল যেহেতু নতুন উদ্যোক্তা তাই সতর্কতা হিসেবে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্কতা করা হয়েছে। ’ 


বিএসটিআই রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে তারা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। কাঁচা আমের যে কনসেপ্ট তারা দিয়েছেন, তা পুরোপুরি ঠিক না। ফুড কালার ব্যবহার করে জিলাপির রঙ নিয়ে আসা হচ্ছে। সামান্য কিছু কাঁচা আম তারা ব্যবহার করছে। কিন্তু জিলাপির রঙ নিয়ে আসতে তারা পুরোপুরি ফুড কালারের ওপর নির্ভরশীল। ’

এদিকে আরাফাত রুবেলকে নিজের ফেসবুক পেজে অভিযানের বিষয়ে লিখেছেন, ‘কাঁচা আমের জিলাপি নয়, কাঁচা আমের স্বাদের ম্যাংগো ফ্লেভার জিলাপি। আজ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা আমাদের রসগোল্লার কাঁচা আমের জিলাপি পর্যবেক্ষণ করেন। কাঁচা আমের জিলাপির ফুড গ্রেড কালার ও গুণগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আমের সাইজ ও পরিমাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গঠনমূলক পরামর্শ দেন। এ ছাড়া তাঁরা আমাদের কাঁচা আমের জিলাপির বিজ্ঞাপনের ভাষা সঠিকভাবে উপস্থাপন না করায় ২৫ হাজার জরিমানা করেন। ’

news24bd.tv/desk