নিজের বাবার যৌন লালসার শিকার হয়েছেন এক নাবালিকা। সেই বাবা এতটাই বিকৃত মস্তিকের যে যৌন নিগ্রহের কথা মা'কে জানিয়েও রক্ষা পায়নি মেয়েটি। মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেই তাকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করত বাবা। ঘটনাটি কাওকে জানালে আরও বেশি অত্যাচারেরও হুমকি দিত বাবা।
সবশেষ কিশোরী কোন উপায় না দেখে পুলিশের কাছে গিয়ে সব জানান। এরপর সামনে আসে কিশোরীকে বাবার ধর্ষণের কথা। খবর সংবাদ প্রতিদিন।ভারতের বীরভূমের কাঁকরতলা থানার সাহাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, কাঁকরতলা থানার সাহাপুর গ্রামের ওই নাবালিকা বাবা এবং মায়ের সঙ্গে বসবাস করত। মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেই তাকে ধর্ষণ করত বাবা। ঘটনাটি জানাজানি হলে আরও বেশি অত্যাচারেরও হুমকি দিত বাবা। তাই কাউকে কিছু জানাত না সে। কয়েকদিন আগে মাকে গোটা বিষয়টি জানায় নাবালিকা। তা সত্ত্বেও মা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই জানায় কিশোরিটি।
এরপর বাধ্য হয়ে শুক্রবার কাঁকরতলা থানায় যায় নাবালিকা। বাবার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। কিশোরীর অভিযোগ পাওয়মাত্রই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তড়িঘড়ি নাবালিকার বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। কিশোরীর বাবা শেখ ইসরাইল ওরফে গেদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পকসো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়। শনিবার অভিযুক্তকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
শুধু নিজের মেয়েকে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধই নয় গেদার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সে এলাকায় নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকত। নাবালিকার মা ঘটনা জানার পরই বা কেন কোনও ব্যবস্থা নিলেন না, সে প্রশ্নও উঠছে।
news24bd.tv/আলী