দুর্ঘটনায় নিহত চালকের পরিবারের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ 

সংগৃহীত ছবি

দুর্ঘটনায় নিহত চালকের পরিবারের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ 

জাহিদুজ্জামান, কুষ্টিয়া

দুর্ঘটনায় স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া এক চালকের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপ। কুষ্টিয়ার হরিপুরের ইলিয়াস হাওলাদার নামের নিহত ওই চালকের স্ত্রী সন্তানদের জন্য তৈরি করে দিচ্ছে পাকা ঘর। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ইতু ও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া সিফাতের লেখাপড়ার সব দায়িত্বও নিয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা পেয়ে অথৈ সাগরে পড়া পরিবার যেন পেয়েছে ভালমতো বাঁচার দিশা।

 

কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুরের ভেকু চালক ইলিয়াস হাওলাদার গত ডিসেম্বরে মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায়। নবম ও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া কন্যা ও পুত্র নিয়ে তার স্ত্রী শাহরিনা পারভীন যেন অথৈ সাগরে পড়েন।  তবে এমন সংবাদ শুনে তাদের সহায়তার জন্য এগিয়ে আসে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা। আর সহযোগিতা করে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।

সহায়-সম্বলহীন এদের এক টুকরো জমিতে পাকা ঘর তৈরির কাজ শুরু করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই এই পরিবারের।  সংসার চালাতে যাতে অন্যের দ্বারস্থ হতে না হয় সেজন্য এই পরিবারকে গতমাসে সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।  

সম্প্রতি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে ইতুদের বাড়ি গিয়েছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয়তম কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে মেয়েটির পড়াশোনার সব দায়িত্ব নেন তিনি। তাদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে যা যা করা প্রয়োজন, তা করবেন বলে কথা দেন।

কালের কণ্ঠ শুভসংঘ পরিচালক জাকারিয়া জামান বলেন, ইতু ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ইতু পড়ালেখা শিখে মানুষের মতো মানুষ হবে। ইতু বড় হয়ে ডাক্তার হবে এ স্বপ্ন ছিল ওর বাবার। বাবার ইচ্ছা পূরণে মেয়েও যেন বদ্ধপরিকর। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দরিদ্রতা। তাদের এই দরিদ্রতা দূর করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। কারণ, বসুন্ধরা কাজ করে দেশ ও মানুষের জন্য।

news24bd.tv/আলী