ডায়রিয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা কী?

প্রতীকী ছবি

ডায়রিয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা কী?

অনলাইন ডেস্ক

বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। সারা বছরের রোগ হলেও প্রতিবছর গ্রীষ্মের শুরুতেই বেড়ে যায় এর প্রকোপ। এটি কেন হয় আর হলে কী করণীয় চলুন জেনে নেওয়া যাক--

উপসর্গ :

ডায়রিয়ার উপসর্গ শুরু হলেই রোগীকে নিয়ম মাফিক খাবার স্যালাইন বা ওআরএস খাওয়ালে অবস্থা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছানো আটকে দেওয়া যায়। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ডায়রিয়া হলে তার প্রধান উপসর্গ-হজম ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়, পেটের মধ্যে নানা শব্দ হয়, গ্যাসের জন্য অস্বস্তি হয়, পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হয়, খাবার খেতে অনীহা।

এর পরেই শুরু হয় আসল লক্ষণ।

বমি একাধিকবার, জলের মতো পাতলা মলত্যাগ, মলের সঙ্গে মিউকাস (যাকে সাধারণ মানুষ আমাশয় বলেন) ও রক্ত থাকতে পারে। সামগ্রিকভাবে রোগী অত্যন্ত অসুস্থ বোধ করেন, জ্বর থাকতে পারে, শরীরে জল কমে যায় বলে প্রস্রাব কমে যেতে পারে।

* কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন

ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে রোগীকে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন বা স্যালাইন দেওয়া দরকার।

ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রোগীর ডিহাইড্রেশন বা পানি স্বল্পতা শুরু হয়ে গেল-এমন অবস্থা যেন না হয়। তাই বমি আর পাতলা পায়খানা শুরু হলেই ওআরএস খাওয়ানো শুরু করুন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন করা ওআরএস না পেলে বাড়িতে নুন চিনির জল তৈরি করে রোগীকে অল্প অল্প করে বারবার দিন। ওআরএস বাড়িতে বানানোর একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এক লিটার জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন বা পরিচ্ছন্ন পানীয় জলে চা চামচের আধা চামচ নুন ও ছয় চামচ চিনি ভালো করে গুলে নিন। এ পানি বারবার রোগীকে দিতে হবে অল্প অল্প করে। ঘন ঘন বাথরুম যাওয়া কিছুটা কমলে তখন প্রয়োজন হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

* ওআরএস ছাড়া অন্য চিকিৎসা

প্রাথমিকভাবে ওআরএসই ডায়রিয়ার চিকিৎসা। অ্যাকিউট ডায়রিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনা থেকেই সেরে যায়। কিন্তু ডিহাইড্রেশন হলেই বিপদ। তাই রোগীর ডিহাইড্রেশনের দিকে নজর দেওয়া উচিত। তবে ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডায়রিয়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, যাতে সংক্রমণ বেড়ে না যায়। এ ধরনের ডায়রিয়ায় নরফ্লক্সাসিন জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। কোন রোগীকে কী ডোজে ওষুধ দেওয়া হবে, তার অন্যান্য শারীরিক অবস্থা কেমন ইত্যাদি কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসক ওষুধ দেন। আর ডায়রিয়া সেরে গেলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না। কোর্স সম্পন্ন না করলে ড্রাগ রেসিস্ট্যান্স হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

* প্রতিরোধের উপায়

রোগ ছড়িয়ে পড়ছে পানির মাধ্যমে। তাই পানীয় জল ফুটিয়ে খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করার পাশাপাশি থালা-বাসন পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিয়ে খাবার খেতে হবে। খাবার চাপা দিয়ে রাখবেন। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকলে মাছির উৎপাত থাকবে না। ডায়রিয়া হলে আতঙ্কিত না হয়ে ওআরএস পানের সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সামগ্রিক অবস্থার ওপর খেয়াল রাখুন।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত