ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হলদিবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি প্রকাশ হলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের দাবি ঘটনাটি সাজানো।
বিদ্যালয় ও এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশ কিছু দিন আগে ওই বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক টিফিন সময়ে ওই শিক্ষার্থীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক বাবুল বালিয়াডাঙ্গী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেনি। কিন্তু পরে বিষয়টি কোনভাবে জানাজানি হলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিচার নিয়ে যান স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের কাছে।
স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, এমন যদি হয় পরিস্থিতি আর বাস্তবতা তাহলে আমরা যাবো কোথায়। ঘটনাটি শোনার পর থেকে আমার মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাই। আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষ। গ্রামের চেয়ারম্যানই আমাদের ভরসা। তার উপরই বিষয়টি ছেড়ে দিলাম। আমরা শুধু বলতে চাই। তিনি যেন কোন অপরাধীকে ছাড় না দেন। আমরা মানবন্ধন করবো, আন্দোলন করবো। যে অভিযোগ উঠেছে আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে আমাকে ভয়ে কিছু বলেনি। তার বান্ধবীদের নিকট থেকে ঘটনার জানার পর স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি জঘন্য। আমার কাছে আসলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বলি এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনার শোনার পর আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি এমএলএসএস পদে নিয়োগ নিয়ে একটি ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানি করা হচ্ছে। এটি একটি ষড়যন্ত্র।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম ডন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
news24bd.tv/রিমু