এলিয়েনের সংস্পর্শে অন্তঃসত্ত্বা!

সংগৃহীত ছবি

এলিয়েনের সংস্পর্শে অন্তঃসত্ত্বা!

ভিনগ্রহের প্রাণ বা এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। বিভিন্ন সময়ে ভিনগ্রহের প্রাণীর উড়ন্ত যান বা ইউএফও দেখার দাবি করেছেন অনেকে। যদিও বাস্তবে এসবের প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেননি কেউ।

ভিনগ্রহের প্রাণীদের দেখা বা তাদের সংস্পর্শে আসার নানা রকম দাবি বিভিন্ন সময়ে উঠে আসে।

সেগুলো তদন্তের ভার দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের শাখা অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রামকে (এএটিআইপি), যারা ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ পর্যন্ত তদন্ত চালায়। এসব তদন্তের ফলাফল এতদিন গোপন রাখা হয়েছে। গত ৫ এপ্রিল ওই সংস্থার ১ হাজার ৫০০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান

ওই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, অন্তত পাঁচজন নারী দাবি করেছেন এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসীদের সঙ্গে তাদের যৌন সম্পর্ক হয়েছে।

এদের একজন এলিয়েনের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার কথাও বলেছেন।

ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন অ্যাক্টের (এফওআইএ) আওতায় করা আবেদনে সম্প্রতি আমেরিকান সরকার প্রতিবেদনটি দ্য সানকে দেয়। ‘অ্যানোমেলাস অ্যাকিউট অ্যান্ড সাব-অ্যাকিউট ফিল্ড এফেক্টস অন হিউম্যান অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল টিস্যুজ’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে অলৌকিক অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের প্রভাব খতিয়ে দেখা হয়।

এতে বলা হয়েছে, ইউএফওর মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিরা তেজস্ক্রিয়তাজনিত ফোসকা পড়া, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি, এমনকি অপ্রত্যাশিত গর্ভবতী হওয়ার অভিজ্ঞতায় ভুগেছেন বলে দাবি করেছেন।

এএটিআইপি প্রোগ্রামটি জনসাধারণের সামনে আসে ২০১৭ সালে, যখন এই প্রোগ্রামের পরিচালক লুইস এলিগোন্ডো পেন্টাগন থেকে পদত্যাগ করেন। সে সময়ে তিনি একটি অচেনা যানের ভিডিও প্রকাশ করলে আলোচনার পালে হাওয়া লাগে।

এএটিআইপির অস্তিত্ব প্রকাশের পর পরই ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান এই প্রোগ্রামের সঙ্গে সম্পর্কিত সব নথি চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে তথ্যের স্বাধীনতা আইনে আবেদন করে। চার বছর পর চলতি বছরের ৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) ১ হাজার ৫৭৪ পৃষ্ঠার নথি সরবরাহ করে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডটিকে।

দ্য সান বলছে, নথিতে মানুষের ওপর ইউএফওর জৈবিক প্রভাব, অদৃশ্য বস্তুর ওপর গবেষণার মতো অনেক বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া মহাকাশ গবেষণার পাশাপাশি সেখানে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে নথিতে। গোপনীয়তার স্বার্থে কিছু তথ্য অবশ্য গোপন রাখা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেসব নথিতে আছে ৪২টি মেডিক্যাল এবং ৩০০টি অপ্রকাশিত ঘটনা। এসব ঘটনায় অচেনা কোনো যানের মুখোমুখি হওয়ার পর আঘাত পেয়েছেন বলে জানায় অনেকে। কিছু ক্ষেত্রে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কারণে পোড়া দাগও দেখা গেছে। এ ছাড়া দুঃস্বপ্ন, কণ্ঠস্বর ও চোখের তীব্রতা কমে যাওয়া, স্মৃতিভ্রংশ, শ্বাসকষ্ট এবং ওজন হ্রাসের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন কিছু মানুষ।

এএটিআইপি এই ‘কথিত’ ঘটনাগুলো তদন্ত করার জন্য কী ধরনের যাচাই প্রক্রিয়া চালিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

প্রতিবেদনে ১৮৭৩ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে মানব পর্যবেক্ষকদের ওপর ইউএফও দেখার ‘কথিত’ জৈবিক প্রভাবের একটি তালিকা রাখা হয়েছে। ইউএফও এনকাউন্টারের প্রভাবগুলোর মধ্যে আছে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, অপহরণ, পক্ষাঘাত এবং টেলিপ্যাথি, টেলিপোর্টেশন এবং লেভিটেশনের অভিজ্ঞতা।

প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে, এসব ধারণা প্রমাণে কিছু অত্যাধুনিক ব্যবস্থা ইতোমধ্যে স্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

news24bd.tv/এমি-জান্নাত