সংঘর্ষের শুরু দুই দোকানির দ্বন্দে!

ছবি : নিউজটুয়েন্টিফোর

সংঘর্ষের শুরু দুই দোকানির দ্বন্দে!

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর নিউমার্কেটের একটি খাবারের দোকানের কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর। এর জের ধরে সোমবার গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকানিদের সংঘর্ষ হয়। সোমবার মধ্যরাত থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১০ জন সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। বন্ধ রয়েছে নিউ মার্কেট এলাকার সকল দোকানপাট ও সড়কে যান চলাচল।

বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ঢাকা কলেজ ও এর ছাত্রাবাসগুলো।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের চাঁদাবাজি বা খাবারের দোকানে কম মূল্য পরিশোধ নয়, বরং নিউ মার্কেটের দুটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারীদের নিজেদের বিবাদ থেকে সংঘাতের শুরু। এ বিবাদে একপক্ষকে শায়েস্তা করতে অন্যপক্ষ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনে। পরবর্তীতে এটিই নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী বনাম ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী সংঘর্ষে রূপ নেয়।

ঘটনার সুত্রপাত ঘটে নিউ মার্কেটের-৪ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকতেই ‘ওয়েলকাম’ নামের ফাস্টফুডের দোকানকে কেন্দ্র করে। ওয়েলকাম নামের ফাস্টফুডের সামনেই ক্যাপিটাল নামের আরেকটি ফাস্টফুড দোকান। দুটি দোকানের মালিক নিজেরাই আপন চাচাতো ভাই।  ফাস্টফুডের দোকানগুলো ইফতারের সময় নিউ মার্কেটের ভেতর হাঁটার রাস্তায় টেবিল পেতে সাময়িক সময়ের জন্য ইফতারের আয়োজন নিয়ে বসে। সোমবার সন্ধ্যায় এই টেবিল পাতা নিয়ে দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। মূলত এ বিরোধের সূত্রপাত ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পী ও ক্যাপিটালের কর্মচারী কাওসারের মধ্যে। এই দুজনের বিতণ্ডার একপর্যায়ে কাওসারকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে বাপ্পী ওই জায়গা থেকে চলে যায়।  

এরপর রাত ১১টার দিকে বাপ্পীর সমর্থক ১০-১২ জন যুবক আসে নিউ মার্কেটে। এ সময় তারা হাতে রামদা নিয়ে আসে। তারা ক্যাপিটাল দোকানটিতে গিয়ে কাওসারের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ায়। সেখানে কাওসার সমর্থকরা বাপ্পীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে মার্কেট থেকে বের করে দেয়। বাপ্পী সমর্থকরা মার্কেট থেকে পালিয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ পর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি দলকে নিয়ে এসে মার্কেটে হামলা চালায়।

ওয়েলকাম ফাস্টফুডের মালিক মো. রফিক বলেন, কাওসার টেবিল রেডি করার সময় বাপ্পীকে মেরেছিল। এরপর আমি বাপ্পীকে বলেছিলাম আমরা বিষয়টা মীমাংসা করে দেব। কিন্তু এর মধ্যে রাতে বাপ্পী তার পরিচিত ঢাকা কলেজের বন্ধুদের বিষয়টা জানালে ঢাকা কলেজের কয়েকজন এসে কাওসারকে জিজ্ঞেস করে, কেন তারা বাপ্পীকে মেরেছে। তখন কাওসার আর তার সাথের ছেলেরা কলেজের ছেলেদের ওপর দোকানের ছুরি-চাপাতি নিয়ে হামলা করে।  

এই ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানতে চাইলে নিউ মার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাহেব আলী বলেন, ‘যদ্দূর জেনেছি, দুই ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারীর মধ্যে ঝামেলায় একপক্ষের হয়ে ঢাকা কলেজের ছেলেরা এসেছিল। এরপর এই ঝামেলা শুরু। ’

news24bd.tv/আলী