জাতিসংঘ জানিয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের শুরুর পর থেকে স্থানীয় সময় ২০ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ৫ হাজার ২৬৪ বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস (ওএইচসিএইচআর) এ তথ্য জানায়।
ওএইচসিএইচআরের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রুশ হামলায় ইউক্রেনের ২৩৪৫ বেসামরিক লোক নিহত এবং ২৯১৯ জন আহত হয়েছে।
ওএইচসিএইচআর মনে করে প্রকৃতপক্ষে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি।
ওএইচসিএইচআর বলছে, বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে অধিকাংশ বেসামরিক লোকের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারী কামান এবং একাধিক রকেট লঞ্চার সিস্টেম থেকে গোলাবর্ষণ এবং ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, যুদ্ধে ইউক্রেনের ২৩ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনও দাবি করে, যুদ্ধে রাশিয়ার ২০ হাজার ৯০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে।
ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
news24bd.tv/কামরুল