দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চায়ের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। এখানকার সমতলের আবহাওয়া ও পরিবেশ দার্জিলিংয়ের আশপাশের এলাকার মতো। এখানকার উর্বর মাটিতে প্রায় সবধরনের চাষাবাদ হলেও চা চাষ বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক। ইতিমধ্যে চা উৎপাদনে দ্বিতীয় অঞ্চল হিসেবে বেশ পরিচিতি পেয়েছে এই জেলা।
জানা গেছে, সমতলে চায়ের জমিতে ইদানিং আম গাছ লাগাচ্ছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার কিছু চা চাষী। বিগত কয়েক বছর ধরে চা-এর জমিতে আমের বাগান শুরু করছেন তারা। আমের বিভিন্ন জাত যেমন-ব্যানানা, বারি-৬, সূর্যাপুরী ইত্যাদি জাতের আম গাছ লাগানো শুরু করেছেন চাষীরা। তবে অনেকে বলছেন, চায়ের বাগানে আম গাছ বেশি ঘন হলে চা গাছের পাতা কম হয়ে থাকে।
উপজেলার পুরাতন বাজার এলাকার চা-চাষী হারেজ আলম বলেন, ‘আমি ৪ একর জমিতে চায়ের সাথে আমের চাষ করেছি। এবার নিয়ে দুবার আম বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছি। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবারও চায়ের জমিতে নতুন করে লাগানো হবে আমের চারা। চাহিদা থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা এ বাগান থেকে আম সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করছেন। আগামী জুন মাসের শেষে আম বাজারে আসবে। ’
তেঁতুলিয়া সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমি মূলত আম চাষী। আমার কয়েকটি চা বাগানে গতবছর পরীক্ষা মুলক আমের গাছ রোপন করেছিলাম। চায়ের গাছ যখন লাগিয়েছিলাম তখন ওই জমিতে কিছু আমের চারাও লাগানো হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছগুলিতে ফল বেশ ভালো এসেছে। গতবার গাছ ছোট হওয়ায় মুকুল ভেঙে দিয়েছিলাম। এবছর ভালো ফল এসেছে এবং ফলের ভার নিতে পারছে। আশা করছি ফলন ভালো পাবো। ’
তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তেঁতুলিয়া উপজেলা বিভিন্ন সমতলের চায়ের বাগানে জমিতে আম চাষ শুরু হয়েছে। চা বাগানে আম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ার দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে। এখানে কিছু চা চাষী আম চাষও করছেন। বিগত বছরগুলোতে আমের স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় বিক্রি করেছে চাষীরা। কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে খুশি। ’
news24bd.tv/desk