নিজ বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করেন প্রতিবেশী। সেখানে কাজ করছিলেন সাত বছরের শিশুটির বাবা-মা। মেয়েটি অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল। হঠাৎ তাকে না দেখে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন মা-বাবা।
ঘটনাটি নওগাঁর মান্দার। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাত বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জুয়েল হোসেনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত শিশুটি নিম বাড়িয়া গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে নিজ বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করেন প্রতিবেশী। সেখানে কাজ করছিলেন সাত বছরের শিশুটির বাবা-মা। মেয়েটি অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল। হঠাৎ তাকে না দেখে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন মা-বাবা। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিবেশীর বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে আবর্জনা দিয়ে কিছু ঢাকা দেখেন আশপাশের লোকজন। পরে সেই আবর্জনা সরাতেই বেরিয়ে এলো শিশুটির লাশ। এরপর খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল মান্নান মিয়া বলেন,পুলিশের কাছে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে জুয়েল। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে শিশুটি অন্য শিশুদের সঙ্গে প্রতিবেশী গোবিন্দ চন্দ্র সাহার বাঁশঝাড়ে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী জুয়েল বাঁশঝাড়ে বাঁশের কঞ্চি কাটছিল। বেলা ৩টার দিকে অন্য শিশুরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেলে জুয়েল ওই শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এসপি আবদুল মান্নান আরও জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
news24bd.tv/আলী