অভিনব কায়দায় চুরি হচ্ছে পাসওয়ার্ড!

অভিনব কায়দায় চুরি হচ্ছে পাসওয়ার্ড!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আপনি যদি মনে করেন আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ডেক্সটপ কিংবা ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড নিরাপদ, তাহলে এখনই সাবধান হোন।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক সম্প্রতি উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন। নতুন গবেষণায় তারা দেখিয়েছেন যে, কিবোর্ডে আপনার হাতের আঙুলের চাপ থেকে সৃষ্ট তাপের ওপর ভিত্তি করে পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারে হ্যাকাররা!

এক সাক্ষাৎকারে গবেষক দলের অন্যতম সদস্য প্রফেসর গেন টুডিগ বলেন, ‘এটা একটা নতুন ধরনের আক্রমণ, যা হ্যাকারদেরকে মধ্যম মানের থার্মাল ক্যামেরার সাহায্যে কিবোর্ডের কোন বাটনগুলো প্রেস করা হয়েছে তা জানার সুবিধা দেয়। ’

news24bd.tv

‘আপনি কিবোর্ডের কোনো বাটন চাপার পর আঙুলের চাপ থেকে বাটনে কিছুটা তাপ সৃষ্ট হয়।

সুতরাং আপনি কিবোর্ডের যে বাটনগুলোতে চেপে পাসওয়ার্ড টাইপ করেছেন, হাতের চাপ থেকে সৃষ্ট তাপের সে বাটনগুলো থার্মাল ক্যামেরার মাধ্যমে বুঝে পাসওয়ার্ড জেনে নিতে পারবে হ্যাকাররা। কিবোর্ডের বাটন চাপার পর ১ মিনিটের মধ্যে এ কৌশলে পাসওয়ার্ড জেনে নিতে পারবে হ্যাকাররা। ’

টুডিগ সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আপনি পাসওয়ার্ড টাইপ করার পরপরই কম্পিউটারের কাছ অন্যত্র কোথাও গেলে এই কৌশলে আপনার পাসওয়ার্ড জেনে নিতে পারবে হ্যাকাররা। তাই পাসওয়ার্ড প্রেস করার অন্তত ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার ডিভাইস ছেড়ে দূরে কোথাও যাবেন না।

গবেষকরা এ ধরনের আক্রমণকে ‘থারমানটর’ নামে অভিহিত করেছেন এবং সাবধান করে জানিয়েছেন, টেক্সট, কোড এবং ব্যাংকিং পিন নম্বর হাতাতেও হ্যাকাররা এই কৌশল ব্যবহার করতে পারে।

কিবোর্ড ভালোভাবে দেখার জন্য হ্যাকাররা থার্মাল ক্যামেরা স্থাপন করে সফল হতে পারে। ভুক্তভোগী কোন বাটনগুলো প্রেস করেছে তা বুঝতে ভিডিও ফুটেজ ডিকোড করতে ব্যবহার করতে পারে।

পরীক্ষামূলক এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৩১ জনকে চার ধরনের কিবোর্ডে পাসওয়ার্ড টাইপ করতে দেয়া হয়েছিল। এরপর থার্মাল ক্যামেরার ফুটেজের ওপর ভিত্তি করে পাসওয়ার্ড বের করতে বলা হয়েছিল ৮ জন নন-এক্সপার্টকে।  

গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, পাসওয়ার্ড টাইপ করার পর ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত তাপীয় তথ্য থার্মাল ক্যামেরায় রেকর্ড হয়েছে। এই সময়টুকু যে কোনো নন-এক্সপার্ট হ্যাকারের পক্ষে পাসওয়ার্ড জানার জন্য যথেষ্ট।

গবেষকরা আশা করছেন, এই গবেষণার ফলাফল পাসওয়ার্ড পদ্ধতির পরিবর্তে আরও নিরাপদ কোনো পদ্ধতির দিকে যেতে উৎসাহিত করবে। একই সঙ্গে মানুষকে 
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে সাবধান করবে।  

 

সূত্র: মিরর অনলাইন 

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর