শিকারির পাতা ফাদে পড়ে তিন সুমাত্রান বাঘের করুণ মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার (২৪ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ায় আচেহ প্রদেশের সুমাত্রা দ্বীপের একটি পাম বাগানের কাছে বাঘগুলোকে ফাঁদে আটকা অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় পুলিশের বরাতে শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা।
সুমাত্রা বাঘ বিপন্ন প্রজাতিগুলোর একটি।
স্থানীয় পুলিশপ্রধান হেন্দ্রা সুকমানা জানান, সুমাত্রা দ্বীপের আচেহ প্রদেশের একটি পাম ওয়েলের বাগানের কাছে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী বাঘের মরদেহ পাওয়া যায়। পায়ে আঘাত পেয়ে ব্যাপক রক্তক্ষরণের কারণে বাঘ দুটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আধা কিলোমিটার দূরে আরেকটি ফাঁদে পড়া আরও একটি স্ত্রী বাঘ পাওয়া যায়। ফাঁদে পড়ে বাঘটির পা ও ঘাড় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
আচেহ প্রদেশের বন সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান আগুস আরিয়ানতো জানান, যেখানে মৃত বাঘগুলো পাওয়া যায় তার আশপাশে আরও বেশকিছু ফাঁদ পাতা ছিল। যেগুলো সাধারণত স্থানীয় কৃষকরা বন্য শূকর ধরতে ব্যবহার করে থাকেন। তবে শিকারিরাও বিপন্ন বন্যপ্রাণীকে ধরা, হত্যা ও বিক্রির কাজে এ ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে বলে জানা গেছে।
আরিয়ানতো আরও বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। যদি পরীক্ষা করে প্রমাণ হয়, বাঘের মৃত্যুর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করা হয়েছে, আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।
একই সঙ্গে তিনটি বাঘের মৃত্যু সুমাত্রান বাঘ প্রজাতির জন্য একটা বড় আঘাত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত এক বছরের মধ্যে সুমাত্রান বাঘ হত্যার এটিই সর্বশেষ ঘটনা। এর আগে আচেহ পুলিশ ফাঁদ দিয়ে বাঘ ধরা ও তাদের চামড়া বিক্রির দায়ে গত বছরের জুনে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল।
গত বছরের আগস্টে শিকারির ফাঁদে আটকাবস্থায় সুমাত্রান দ্বীপের একটি সংরক্ষিত অঞ্চলে দুটি শাবকসহ তিনটি বাঘ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর অক্টোবরেও রিয়াউ প্রদেশে একটি স্ত্রী বাঘের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ফাঁদে আটকা পড়ে বাঘটির একটি পা ভেঙে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ও বাস্তুতন্ত্রের সংরক্ষণ আইনের অধীনে সুমাত্রায় ইচ্ছাকৃতভাবে সুরক্ষিত প্রাণী হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের জেল এবং ১০০ মিলিয়ন রুপিয়া (৭ হাজার ডলার) জরিমানা হতে পারে।
news24bd.tv/কামরুল