তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়া, এর মাঝে ভারতে গরমের তিব্রতা ছাড়িয়েছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশটির ৫ রাজ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ দশকেই বছরে ৬শ ভয়াবহ দুর্যোগ দেখবে বিশ্ববাসী। গবেষণা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের থাবায় বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের জিডিপি ১০ থেকে ১৮ শতাংশ কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
প্রচণ্ড তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার বেশ কিছু এলাকায় তাপমাত্রার পারদ ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। ১২ বছরে উষ্ণতম এপ্রিলের দেখা পেয়েছে দিল্লি। এই অবস্থায় রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও ওড়িশায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারতের এক বাসিন্দা জানান, দেখুন অমি ছায়ার নিচে বসেও অনবরত ঘামছি। এখনি এতো গরম জুন-জুলাইয়ে মানুষের কি অবস্থা দাঁড়াবে।
শুধু ভারত নয় তাপদাহে পুড়ছে পাকিস্তান, আফানিস্তান। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সামনের দিনগুলোতে তাপদাহ আরো তিব্র হবে।
এদিকে আফ্রিকা কিংবা ইউরোপ প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে গড় তাপমাত্রা। গেল বছর ৪৩ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে ইতালির তাপমাতা গড়িয়েছিলো ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ভয়াবহতা আরো তিব্র হবে।
তারা জানান, আগের দশকের দিকে তাকান, আবহাওয়া এতোটা কি বিরুপ ভাব ছিলো? যে পরিমান বৃষ্টি হচ্ছে তাতে বন্যা হচ্ছে কারণ মাটি তার শোষণ ক্ষমতা হারাচ্ছে। আর এটি আরো বৃদ্ধি পাবে।
জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনবিষয়ক দপ্তর ইউএনডিআরআর বলছে, সর্বশেষ দুই দশকে প্রতিবছর ৩৫০ থেকে ৫০০টি মধ্যম থেকে ভয়াবহ দুর্যোগের শিকার হয়েছে বিশ্ববাসী। এটি আগের তিন দশকের গড় দুর্যোগের তুলনায় পাঁচ গুণের বেশি। চলতি দশকে বিশ্বজুড়ে এমন দুর্যোগের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে বছরে ৫৬০টিতে।
গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বছরে বিশ্বে ২৩ হাজার কোটি শ্রমঘণ্টা নষ্ট। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগ দাবানল, বন্যা, বড় ধরনের ঝড় এবং পানির ঘাটতির মুখোমুখি হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপি ১০ থেকে ১৮ শতাংশ কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
news24bd.tv/রিমু