ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে শুরু হয় এই অভিযান। রাশিয়ার ছোড়া বোমা আর রকেটে কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। এর মধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
স্থানীয় সময় শুক্রবার এক টুইটবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদাদো।
টুইটবার্তায় উইদাদো বলেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি- উভয়কেই আমন্ত্রণ জানিয়েছি'।
রাশিয়া জি-২০ এর সদস্য হলেও ইউক্রেন এখনও এই জোটের সদস্য নয়, তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশেষ বিবেচনায় দেশটির প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পুতিন ও জেলেনস্কিকে পৃথকভাবে টেলিফোন করে সম্মেলনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উইদাদো এবং পুতিন নিশ্চিত করেছেন যে নভেম্বরের সম্মেলনে তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। তবে জেলেনস্কি আসবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।
চলতি বছর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া। আগামী নভেম্বরে দেশটির পর্যটন দ্বীপ বালিতে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন।
এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় ও রুশ যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল লড়ায়ে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে কিয়েভ। এছাড়া পূর্ব ইউরোপজুড়ে আট হাজার সেনা মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফিনল্যান্ড থেকে উত্তর মেসিডোনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত মাসব্যাপী ওই সামরিক মহড়ায় ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রের মতো মিত্ররাও অংশ নেবে।
সূত্র: এএফপি
news24bd.tv/রিমু