এক নজরে আবুল মাল আবদুল মুহিতের বর্ণাঢ্য জীবন

ফাইল ছবি

এক নজরে আবুল মাল আবদুল মুহিতের বর্ণাঢ্য জীবন

মাসুদ রানা

সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক, লেখক, গবেষক, পরিবেশবিদসহ নানা পরিচয়ে গৌরবোজ্জ্বল এক নাম আবুল মাল আবদুল মুহিত। একজন ভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আর্ন্তজাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে বাংলাদেশের সম্পৃক্তি ও সমৃদ্ধিতে তিনি ছিলেন এক রূপান্তরের নায়ক।  

তার কাছে জীবন ছিল মহাতৃপ্তির, মহাপ্রাপ্তির।

৮৮ বছরের সেই কর্মময় জীবনের যবনিকা টেনে চিরবিদায় নিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই বর্ষীয়ান সদস্য। বার্ধক্যের নানা সমস্যাও পেয়ে বসেছিল। শারীরিক দুর্বলতার কারণে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে।

অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ফিরে গিয়েছিলেন নিজের জেলা সিলেটে।

১৯৩৪ সালের ২৫শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মুহিত। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া আবদুল মুহিত বরাবরই একজন মেধাবী মানুষ ছিলেন। সক্রিয় ছিলেন ভাষা আন্দোলনেও। ১৯৬৯ সালে তিনি ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কূটনৈতিক দায়িত্ব পান। একাত্তরের জুন মাসে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন।

যুদ্ধের পর বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন মুহিত। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভার দিয়েছিলেন মুহিতের ওপর। সেই দায়িত্ব তিনি পালন করে গেছেন টানা দশটি বছর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে এবং জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য ২০১৬ সালে আবুল মাল আবদুল মুহিতকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে সরকার।

সাহিত্য পড়ে আসা মুহিত অর্থনীতির জটিল জগতে জড়িয়ে গিয়েও জীবনের অন্য রঙগুলো থেকে খুব বেশি দূরে সরে যাননি কখনো। মন্ত্রীত্বের শেষ সময়েরও শত ব্যস্ততার মাঝে তাকে কখনও দেখা গেছে উচ্চাঙ্গ সংগীতের আয়োজনে, কখনও আবার চারুকলার বকুলতলায় নবান্ন উৎসবে।

news24bd.tv/রিমু